জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সরকারী আঙ্গামাটা নামক পুকুর পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধশত গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। সরকারী স্বার্থ রক্ষায় পুকুরটি নিয়ে গ্রাম বাসীর করা মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
শারফুল ইসলামের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মামুদপুর মৌজার ১/১নং ডিপি খতিয়ানভুক্ত ১৩১নং দাগে ১.২৬ একর পুকুর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক নামে আরএস খতিয়ান প্রস্তুত হয়। যাহা ১৪২৬-১৪২৮ জলমহল নীতিমালা অনুযায়ী ৩বছর মেয়াদী ইজারা প্রদানের নোটিশে প্রকাশিত মুলে উপজেলার বানিয়াচাপর সৎস্য সমবায় সমিতি বরাবর ২৬ হাজার ৪০০ টাকা গ্রহন করে ইজারা প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি)(অঃদাঃ) ক্ষেতলাল স্বাক্ষরিত ১০/০৪/২০১৯ তারিখের ৮১৯৬৯/২০ নং ডিসিয়ারের মাধ্যমে। পরবর্তীতে উপজেলার জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯/১২/২০১৯ খ্রিঃ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক একয় স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষরে মামুদপুর মৌজার সাবেক ৭৪ খতিয়ানে ৮০ দাগের ১.২৬ একর ওই পুকুরটি ডিসিয়ারটি বাতিল করেন।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত আবদুস ছাত্তারের পুত্র প্রভাবশালী নাদিমুজ্জামান বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে ওই সরকারী পুকুরের মালিকানা দাবি করে দিঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিল। সরকারী খাস পুকুরটি ইতঃপূর্বে সরকারীভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে অভিযুক্ত নাদিমুজ্জামান প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানা দাবি করলে কর্র্তৃপক্ষ প্রভাবিত হয়ে ইজারা বাতিল করেন বলে জানা গেছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারী পুকুরের পাড় থেকে প্রায় অর্ধশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করে বিক্রি করেছে যার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
সরকারী সার্থ সরক্ষনে জনসাধারনের পক্ষে বর্ণিত সম্পত্তি নিয়ে ভূমি আপিল বোর্ডে মামলা করা হয়। যা রাজশাহী রিভিশন সরকার পক্ষে নং ০৫/৬৩- ২০১৮ বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
গাছ কর্তনের বিষয়ে গ্রামবাসি বাধা দিলে নাদিমুজ্জামান ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। অভিযোগে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানায় এলাকাবাসি।
মামুদপুর ইউনিয়নের তহশিলদার নুর ইসলাম বলেন, ওই পুকুর নিয়ে মামলা চলছে আমরা পুকুর পাড়ের গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি এবং গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাদিমুজ্জামান বলেন, পুকুরটি জমিদার রামকৃষ্ণ পিয়ার অর্পিত সম্পত্তি ছিল পরবর্তিতে তাদের ওয়ারিশগণের নিকট থেকে কোবলা সূত্রে দির্ঘ ৪৫ বছর যাবৎ ভোগদখলে আছি। আমাদের নামে হাল নাগাদ খাজনা খারিজ পরিশোধ আছে।