ওসি হিসেবে যোগদানের ৬ মাসের মাথায় বরিশালের বাবুগঞ্জ থানায় কমেছে মাদকের বিস্তার, শূণ্যের কোটায় নেমেছে কিশোর অপরাধ। এসব সম্ভব হয়েছে ওসি মিজানুর রহমানরে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। গত বছরের ২ সেপ্টম্বর তারিখ থেকে বাবুগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকেই পুলিশের সেবা জনগনের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছেন। এতে করে জনগন হয়রানী থেকে মুক্ত হয়েছেন। সেবার মান আরও বাড়াতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। সাধারণ মানুষ তার কাছে এসে সরাসরি তাদের অভিযোগ বলতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ওসি মিজানুর রহমানের এমন মহতী উদ্যোগ এলাকার আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ভূমিকা পালন করবে। যেখানে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বাবুগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন স্পটে উঠতি বয়সী কিশোর সংঘবদ্ধ হয়ে আড্ডায় মেতে থাকতো, এ মন কি, কিশোরদের বেশ কয়েকটি দল সন্ধ্যার পর আড্ডারত অবস্থা মাদক সেবন করা ছিলো নিত্যনৈমেত্তিক ঘটনা! প্রায়ই বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ এমন সব কিশোর মাদক সেবীদের আটক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিতেন। এ সময় সব ঘটনার অবসান ঘটিয়ে উপজেলার বাবুগঞ্জ থানা এলাকায় কিশোর অপরাধ, মাদক, চুরি ও ডাকাতি পরিমাণ কমিয়ে এনেছেন। সেই সঙ্গে কমেছে এলাকায় অপরাধী ও অপরাধের সংখ্যাও। অনুসন্ধানে জানাগেছে, বাবুগঞ্জ থানা এলাকার অবনতিশীল আইনশৃংখলা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে যোগদানের ৬ মাসের মাথায় পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। ‘‘পুলিশি জনতা, জনতায় পুলিশ’’এমন শ্লোগানকে বাস্তবে রুপদিতে বাবুগঞ্জ থানা দালাল মুক্ত করে সরাসরি থানায় আগত মানুষের কথা নিজ কানে শুনে যথাযোগ্য সমাধানের চেষ্টা করেন। শালিশ যোগ্য অপরাধ গুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে আইনি ঝামেলা থেকে পরিত্রান পেতে সহযোগিতা করেন ওসি মিজানুর রহমান। তবে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দাবী তুলেছেন শুসীল সমাজ। ওসি মিজানুর রহমান দায়িত্ব নেবার পর গোটা উপজেলায় পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, ধর্ষণের আসামি, চোর ডাকাতসহ বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পুলিশের নিয়মিত টহলে কমেছে ছিন্নমূল অপরাধীদের দৌরত্ব। বাবুগঞ্জ থানা এলকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে এরইমধ্যে তিনি জাহাঙ্গীর নগর(আগরপুর), কেদারপুর, দেহেরগতি, রহমতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় সাংবাদিক, কমিউনিটি পুলিশ, গ্রাম পুলিশদের নিয়ে মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, চুরি ডাকাতি বন্ধে সভা সমাবেশ করেছেন। ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের নিয়ে সন্ত্রাস নাকশকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক সভা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিরি উন্নতি ঘটিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে সচল রেখেছেন। এমনকি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার) পিপিএম বাবুগঞ্জ থানা ঈদ গাঁহ মাঠে গত ২১ জানুয়ারী কমিউনিটি পুলিশিং ও ওপেন হাউস ডে সভায় বাবুগঞ্জে আইন শৃংঙ্খলার পরিস্থিতির সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাবুগঞ্জের মাদক স্পট গুলোতে পুলিশি টহলে কমে এসছে মাদকের বিস্তার, ওসি’র বিশেষ নজরদারি ও অভিযানের কারণে ইদানীং সেসব স্থানে কমে গেছে মাদককারবারী ও সেবীদের আনাগোনা। স্কুল কলেজের ছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে পুলিশের পর্যাপ্ত টহলের কারণে কমেছে ইভটিজিং বা মেয়েদের উক্ত্যক্ত ঘটনা। কমেছে বখাটেদের উৎপাত। সাধারন মানুষ থানায় এসে আইনি সেবা পাচ্ছে। এইজন্য নতুন ওসির এইরকম কার্যকলাপ অব্যাহত থাক এই আশা ব্যক্ত করেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মৃধাঃ মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন বলেন, ওসি মিজানুর রহমানের যোগদানের পর বাবুগঞ্জ থানা এলাকার আইন শৃংঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। স্কুল, কলেজের সামনে বখাটেদের আনা গোনা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এ এলাকার অপরাধ প্রবণতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নিজের দায়িত্ব পালন করতে এসেছি, জনগনের প্রকৃত আইনি সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন পুলিশের পাশাপাশি বাবুগঞ্জ থানার অপরাধ কমিয়ে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির কৃতিত্বের অংশীদার জনগণ, রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরাও বলে তিনি দাবি করেন। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত একটি আদর্শ মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।