যশোরের ডিবি পুলিশের দুই সদস্য ছদ্মবেশ ধারণ করে ৭ চাঁদাবাজকে আটক করেছে। এ সময় চাঁদার দাবিতে আটক চালক ও সহকারীকে উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আটককৃত চাঁদাবাজরা হলো, অভয়নগর থানার প্রেমবাগ গ্রামের সৈয়দ পাড়ার সৈয়দ মোক্তার হোসেনের ছেলে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রানা, মৃত শাহজাহান সিনার ছেলে আজাদ রহমান, মৃত. সৈয়দ আবদুল ওয়াদুদের ছেলে সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম মন্টু, একই উপজেলার প্রেমবাগের মৃৃত আবদুল ওয়াদুদের ছেলে পিন্টু, মৃত. শামসুর মোল্যার ছেলে জিয়ার মোল্যা, ই¯্রাফিল বিশ^াসের ছেলে আল আমিন, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার চর বয়রা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে হাবিবুর রহমান
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আলবী ট্রেডার্স নামক কোম্পানি জ¦ালানী তৈল (গ্রীন ওয়েল) সরবরাহ করে আসছিল। আটক রানার গং সন্ত্রাসী গ্রীন ওয়েল বহনকারী ট্রাংকলরি আটক করে চাঁদা দাবি ও আদায় করেছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আলভি ট্রেডার্সের ট্যাংকলরি চালক ও কর্মচারীকে আটক করে ট্রেডার্সের মালিক ও ম্যানেজার নিকট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি আলভি ট্রেডার্সের ম্যানেজার আমির হোসেন ইমনের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিবি পুলিশের ২ সদস্য ছদ্মবেশে ইমনাকে সাথে নিয়ে দুস্কৃতকারীদের দাবিকৃত টাকা নিয়ে যায়। রানা অফিসে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা দেয়। এ সময় তারা আরো টাকা দাবি করে। বিষয়টি ডিবি পুলিশ গোপনে ভিডিও করেন। তারপর ৭ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। পুলিশ এ সময় ট্রাডার্সের চালক ও সহকারিকে উদ্ধার এবং চাঁদার নগদ ৩ হাজার টাকা জব্দ করেছে। এ ঘটনায় আমির হোসেন ইমন থানায় মামলা দায়ের করেছে। সংবাদ সম্মেলনে যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।