নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত একমাত্র ভাষা শহীদ মিনারটি গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে। অবহেলিত ভাষা শহীদ মিনারটি পূর্ণ সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেননি। বর্তমানে এটি ভেঙ্গে চুরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভাষা শহীদদের প্রতি সর্বশ্রেণী ও পেশার মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নজিপুর সরকারি কলেজ গেটের সামনে ও নজিপুর-ধামইরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই ভাষা শহীদ মিনারটি তৈরি করা হয়। ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর কয়েক বছর বেশ জাকজমকপূর্ণ ভাবে এখানে ভাষা শহীদদের স্মরনে পুষ্পার্ঘ অর্পণে পাশাপাশি অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়। ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ সালে কে বা কাহারা শহীদ মিনারটির ক্ষতিসাধন করে এবং নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। বর্তমানে ভাষা শহীদ মিনারটি চরম অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে। ২১ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নজিপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনারে সরকারি ভাবে কর্মসূচীর আয়োজন করা হলেও ভাষা শহীদ মিনারে কেউ পুষ্পার্ঘ প্রদানের প্রয়োজন মনে করে না। বর্তমানে প্রতি সোমবার মিনারে পাদদেশে মুরগী,হাঁস ও কবুতরের হাট বসছে। এ সকল পশুর বিস্টা ভাষা শহীদ মিনারের পারিবেশ নষ্ট করছে। মানুষ জুতা পায়ে মিনারে উঠছে যখন তখন। সন্ধার পর শহীদ মিনারের উপর স্থানীয় বখাটদের নেশার আড্ডা বসাতে দেখা গেছে। যা ভাষা শহীদদের প্রতি চরম অবজ্ঞার শামিল। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ভাষা শহীদ মিনারটি তার জৌলুস হারাতে বসেছে।
এবিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পত্নীতলার একমাত্র ভাষা শহীদ মিনারটির সংরক্ষণের দাবী জানান। এ বিষয়ে তাঁরা পত্নীতলা-ধামুইরহাট আসনের সংসদ সদস্য মো.শহীদুজ্জামান সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহীদ মিনারটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।