মাত্র চারদিনের ব্যবধানে নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলশিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে অভিভাবকসহ সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় নড়াইলের নড়াগাতি থানার সরসপুর এলাকায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর খান নিহত হয়। এদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া পথে নড়াইল শহরের উপজেলা পরিষদের সামনে স্পিড ব্রেকারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতুল।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে হাসিবুর খান পহরডাঙ্গা থেকে বাইসাইকেল যোগে স্কুলে যাওয়ার পথে সরসপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্টো- ট-১১-২০১১ ) তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে হাসিবুরকে ঢাকায় পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। হাসিবুর কালিয়া উপজেলার যোগানিয়া গ্রামের নাজির খানের ছেলে এবং যোগানিয়া ডি এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন জানান, এ দুর্ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে।
এদিকে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে নড়াইল সরকারি বাালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী জান্নাতুল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়। জান্নাতুল শহরের কুড়িগ্রামের ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জান্নাতুল এক প্রতিবেশির মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্র নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে স্পিডব্রেকারে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় তার মাথা ফেটে গেলে এসএসসির ইসলাম ধর্ম পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ খায়রুল আলম বলেন, অনিরাপদ সড়ক সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য সবাইকে সচেতন ও সর্তক ভাবে চলাফেরা করতে হবে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো সর্তক হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সড়কে চলাচলকারী সব ধরণের যানবাহন চালকদের সব নিয়ম-কানুন মেনে যানবাহন চালালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে যাবে।