নীলফামারীর সৈয়দপুর মুন্সিপাড়ায় রেলওয়ের প্রায় ৪’শ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে কতিপয় ব্যক্তি। ওই এলাকায় রয়েছে রেলওয়ের অর্ধশতাধিক কোয়ার্টার, পরিত্যক্ত জলাশয়, ফাঁকা জায়গা। ক্রমান্বয়ে কোয়ার্টার, জলাশয়, ফাঁকা জায়গাগুলো দখল করে নেয় তারা। ওই জমিতে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি গড়ে তুলেছে বিশালাকৃতির অট্টালিকা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এগুলো দেখেও যেন না দেখার ভান করে চলছেন। বর্তমানে অবৈধ দখলকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি জায়গা দখল করার পর তা আবার মোটা অংকের টাকায় বিক্রিও করা হচ্ছে। ইতঃপূর্বে মুন্সিপাড়ার দখলকৃত কোয়ার্টারে চলছিল মাদক ব্যবসা। ওই সময় পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে গ্রেফতারও করেছিল কয়েকজনকে। মুন্সিপাড়ার বেশ কিছু কোয়ার্টারে অনৈতিক কাজ হচ্ছে এমন অভিযোগ মিলেছে। হরিজন কলোনীর জায়গাও বিক্রি হচ্ছে। ফলে সংকোচিত হচ্ছে ওই হরিজন কলোনী। কেউ কেউ রেলওয়ে কোয়ার্টার ভেঙ্গে সেখানে গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রায় কয়েক যুগ পার হয়ে গেলেও তা নিজ দখলে নিতে ব্যর্থ হয়েছে রেলওয়ে প্রশাসন। গত ১২ ফেব্রুয়ারী শুরু হয় সৈয়দপুরে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছে অভিযান। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা পাকশী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান। ওই দিন রেল কোয়ার্টার থেকে উচ্ছেদ, অবৈধ দখলকারীর জরিমানা, কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে জেল, কাগজপত্র সঠিক না থাকায় প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করা হয়। এ সময় সংরক্ষিত নারী আসন-২৩ এর এমপি রাবেয়া আলীম এর সুপারিশে ১৫ দিনের সময় দেন ওই কর্মকর্তা। উচ্ছেদ ১৫ দিন বন্ধ থাকবে এমন খবর পেয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে অবৈধ দখলকারীদের মাঝে। কিন্তু এখনও শহরের কোন কোন এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। এ ব্যাপারে রেলওয়ের একটি সূত্র থেকে জানা যায় ১৫ দিন সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আবার সৈয়দপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।