রংপুরের পীরগাছায় মোংলাকুটি শাখা ডাকঘরের কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চিঠিপত্র ও জরুরী কাগজপত্র এসে পড়ে থাকলেও দিনের পর দিন বিতরন করা হচ্ছে না। এ শাখার ইডিএমসি রানার আয়নাল হক কোন কারণ ছাড়াই ছুটি না নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৩/৪ দিন করে অনুপস্থিত থাকছেন। তিনি নিজেকে ওই শাখার প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। ফলে ডাকঘরটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা।
অভিযোগে জানা গেছে, ডাক সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে ১৯৯৮ সালে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মোংলাকুটি বাজারে ডাকঘরের শাখা অফিস স্থাপন করা হয়। তখন পোষ্ট মাষ্টার হিসেবে আকতারুজ্জামান এবং ইডিএমসি রানার আয়নাল হক ওই শাখার দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর থেকে ইডিএমসি রানার আয়নাল হক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে সপ্তাহে ৩/৪ দিন অফিসে আসছেন না। চিঠিপত্র ও জরুরী কাগজপত্র এসে পড়ে থাকলেও দিনের পর দিন বিতরন করা হচ্ছে না। ফলে চাকুরী প্রত্যাশী ও সাধারন গ্রাহকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
মোংলাকুটি এলাকার জয়নাল আবেদীন, মারুফা বেগম, সোহেল রানা, আবদুর রাজ্জাক বলেন, ডাকঘরের কার্যক্রম প্রায় অচল। সরকারী ভাবে বেতন-ভাতা ভোগ করলেও তেমন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। আরেক এলাকাবাসী নুরুন নবী মিয়া বলেন, আমি এ ডাকঘরের প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু আয়নাল হক প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করছে। তিনি গত ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কোন রকমের ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রানার আয়নাল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
পোষ্ট মাষ্টার আকতারুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, মাঝে-মধ্যে সে ছুটির আবেদন ছাড়াই অনুপস্থিত থাকেন। গত ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অফিসে আসেননি। ছুটিও নেয়নি। এ বিষয়ে আমি প্রত্যায়ন দিয়েছি।