যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থা নেয়া শিক্ষার্থীদের উপর এই হামলা করা হয়। এতে ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেললে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যবিপ্রবির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভ।
তিনি বলেন, দাবি আদায়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি শুরু করি। দুপুরে আন্দোলন তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়। আর রাতে বহিরাগত আজিজ ও রাসেল পারভেজ, কামরুল হাসান সিহাব, ইব্রাহীম, বিপুল ইমনসহ বেশ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। হামলার একপর্যায়ে প্রশাসন ক্যাম্পাসের সব বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে আরাফাত সুজন, মাহমুদুল হাসান সাকিব, মুনিরুল ইসলাম হৃদয়সহ ১২ জনকে আহত করে। এ সময় আমরা আহতদের হাসপাতালে আনার চেষ্টা করলেও বাধা দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে আমাদের হাসপাতালে আসতে সহযোগিতা করে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে যশোর জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার মতো ঘটনা ঘটেছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে। উচ্চ আদালত যাদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ ব্যয় করতে পারে না। তাই আমরা রাষ্ট্রদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে এই মামলা পরিচালনার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের টাকা ব্যয় না করতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। আর এ কারণে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই শিক্ষার্থীকে আজীবনসহ ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এজন্য প্রশাসন ২০১৮ সালের একটি ঘটনা সামনে এনেছে। তবে ওই ঘটনাটিও একটি বিতর্কিত কমিটি দিয়ে তদন্ত করানো হয়েছে। ভিসি স্যারের পিএস কামরুল হাসান ছাত্রলীগ নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। এর বিচার চাইতে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিসি স্যারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এই ঘটনাটি ভিসি স্যারের কার্যালয় ঘেরাও বলে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের বহিষ্কার দেখানো হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ভিসির পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছিলাম।