ঝালকাঠীর টিনের আড়ৎদার ব্যবাসায়ী নয়ন তালুকদারের বিরূদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে বেতাগীর লাকী আক্তার। বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করে লাকি আক্তার। ১২ জানুয়ারী রাতে লাকীর মামার বাড়িতে বসে জোড় পুর্বক লাকিকে ধর্ষন করে। নয়ন ঝালকাঠী পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের ৩০নং ষ্টেসন রোডের বাসিন্দা ইসলাম ট্রেডার্সের মালিক মো: আবুল কাসেম তালুকদারের পুত্র। মামলার বাদি লাকী আক্তার বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ফুলতলা গ্রামের মৃত আ: মজিদ খানের কন্যা।
মামলা সূত্রে জানাগেছে লাকী আক্তার মালেশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ছিল। স্বামীর অবর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় নয়নের সাথে। নয়নের বিবাহের প্রলোভনে লাকী আক্তার তার স্বামীকে তালাক দেয়। মোবাইলে যোগাযোগের একপর্যায়ে সাক্ষাতে লাকীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার কথা বলবে জানায় নয়ন। এমন প্রস্তাবে লাকি নয়কে বেতাগী থানাধীন ১নং বিবিচিনি ইউনিয়নের তার মামা বাড়ী আসতে বলে। ১২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে লাকীর মামা বাড়ীতে আসে নয়ন। কথা বার্তার একপর্যায়ে নয়ন ওই বাড়ীতে রাত্রি যাপন করে। নয়ন ঘরের সামনের রুমে ও লাকী পিছনের রুমে ঘুমাতে যায়। রাত ১১টার দিকে নয়ন লাকীর রুমে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। এই সময় লাকীর ডাক চিৎকারে ওই ঘরের অন্যান্যরা উপস্থিত হলে নয়ন সবাইকে সাব জানিয়ে দেয় পরের দিন প্রকাশ্যে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে। বিধিবাম সকলে ঘুম থেকে উঠার আগেই নয়ন ওই বাড়ী হতে পালিয়ে যায়। এই ব্যপারে নয়নের সাথে যোগাযোগে ব্যার্থ হয়ে নয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ১৪ জানুয়ারি বেতাগী থানায় হাজির হয় লাকী আক্তার। কর্মকর্তা ইনচার্জ অভিযোগটি আমলে না নিয়ে লাকীকে উপহাস করে। এমনকি ওই থানার এসআইস সাইফুল ইসলাম নয়নের নাম্বার নিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করে। উপায়ন্ত না পেয়ে লাকী বরগুনা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে লাকী আক্তার বলেন, ‘নয়নের প্রলোভনে পড়ে আমি স্বামীর সংসার হারালাম অপর দিকে ধর্ষনের স্বীকার হলাম। পাশাপাশি আমার পার্লার ব্যবসা করে জমানো টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছে নয়ন। আমার এখন মরণ ছাড়া কোন পথ নাই। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’
এ ব্যাপারে নয়নের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাকীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক ছিলো, আমি অনেকবার তার সাথে শারিরিক ভাবে মিলিত হয়েছি। আমি পুরুষ লোক একজনের সাথে সম্পর্ক হতেই পারে। বিনিময়ে ওকে দিয়েছি টাকা। এখন ওকে বিয়ে করতে হবে এর কোন মানেই হয় না।’