প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাটোরের সিংড়ায় আয়েশা সিদ্দিকা (১৯) নামের এক তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিয়ের দাবি করায় শারিরীক ভাবে নির্যাতনও করা হয়েছে ওই তরুণীকে। শুক্রবার সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ওই তরুণী মহিলা ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে কাতরাচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত যুবক জিহাদ কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে সিংড়া থানা পুলিশ। আটক জিহাদ উপজেলার তেরোবাড়িয়া গ্রামের আবদুল আলীমের ছেলে ও সিংড়া বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
সিংড়া থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রেমের ফাঁদে ফেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা মহল্লার আবদুল আজিজের মেয়ে আশেয়া সিদ্দিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রতিবেশী যুবক জিহাদ। বুধবার জিহাদের বাজারের কসমেটিক দোকানে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন তরুণী আয়েশা সিদ্দিকা। একপর্যায়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে বেধরক মারপিট করে পালিয়ে যায় প্রেমিক জিহাদ।
আহত তরুণী আয়েশা সিদ্দিকা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে শুধু ব্যবহার করা হয়েছে। বিয়ের জন্য মোটা অংকের টাকাও দাবি করেছে জিহাদ। আমি একটা মধ্য বিত্ত পরিবারের মেয়ে, এতগুলো টাকা কই পামু স্যার।
মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স মনোয়ারা খাতুন বলেন, তরুণী আয়েশা সিদ্দিকার শরীরে মারপিটের লালচে দাগ রয়েছে।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইসরাত জাহান জানান, তরুণী আয়েশা সিদ্দিকার শরীরে বেশ ব্যথা রয়েছে। এজন্য তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন অভিযোগকারী তরুণীর ডাক্তারী রিপোর্ট হাতে পেলেই প্রয়োজনী আরো ব্যবস্থা নেয়া হবে।