যশোর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার এবং পিতাপুত্রকে গ্রেফতার করেছে। বৃৃৃৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিন টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, মনিরুজ্জামান পুলিশ ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে সদর উপজেলার সিরাজসিংহা গ্রামের মত মোজামগাজীর ছেলে আব্দুল হক গাজী(৭২),আব্দুল হক গাজীর ছেলে আব্দুল হালিম গাজী (৪৫), (পিতা-পুত্র) কে গ্রেফতার করে। পর তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে একই গ্রামে তাদের বাড়ির পাশে গাজী পরিবারের কবরস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে ২টি পিস্তল (১টি নাইন এমএম ও ১টি ৭.৬৫), ১টি ওয়ান সুটারগান, ২টি পাইপগানসহ ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৩৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৫ রাউন্ড এসএমজির গুলি, ৩০ রাউন্ড ৯ এমএম ও ৭.৬৫ পিস্তেলর গুলিসহ ৭২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানি এক প্রেসব্রিফিং কালে তিনি জানান, অভিযান পরিচালনাকালে জানা যায় যে, যশোর সদর উপজেলার কুয়াদা-সিরাজসিংহাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ একটি সন্ত্রাসী প্রবণ এলাকা। যেখানে কুয়াদা বাজার সহ মনিরামপুর-যশোর রোডে নিয়মিত রোড ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ অন্যন্য অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। কুয়াদা বাজারে ডাকাতি, ছিনতাই, রোড ডাকাতির মত ঘটনা প্রায়শঃ ঘটতো। পুলিশের তৎপরতার ফলে এসব অপরাধ সাময়িকভাবে দমন থাকলেও এ সকল অপরাধীরা গোপনে গোপনে সংগঠিত হচ্ছিল মর্মে গোপন সূত্রে জানা যায়। এ সকল অপরাধীরা নতুন কোন অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে সময় সুযোগের অপেক্ষায় অস্ত্র-গুলা-বারুদ আসামীদের পারিবারিক কবরস্থানে মজুদ রাখে বলে জানা যায়। এছাড়া এসব অস্ত্র আশপাশের বিভিন্ন জেলাতে অপরাধীদের কাছে ভাড়া দিত এবং একটি চক্রের মাধ্যমে অস্ত্র গুলি বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের কাছে ক্রয় বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানা যায়। এছাড়া কুয়াদা বাজারের আশপাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট হতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিয়মিতভাবে চাঁদাবাজি করত বলে জানা যায়। পুলিশ দীর্ঘদিন যাবত নজরদারীতে রাখছিল। অবশেষে তারই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। যশোর পুলিশ অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের. অপু সারোয়ারসহ সহকারী পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম. এস এম হাদীসহ আরো অনেকে।