নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রি দিয়ে ছাদ ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ করছেন।
জানা যায়, বিরিশিরি ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে বিরিশিরি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি’র ৪তলা বিশিষ্ট ভবনের দ্বিতীয় তলা নির্মাণের কাজ চলছে। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকায় ভৌত-অবকাঠামো সমস্যার জন্যে নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখার তেমন কোন ঘর না থাকায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের আওতায় উক্ত বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৫শ ৮০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। যা পরবর্তীতে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ পান মেসার্স নজরুল ওয়ার্কশপ এন্ড স্টিল ফার্নিচার নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অধিক লাভের আশায় সংশ্লিষ্ট ইস্টিমিট ডিজাইন অনুযায়ী কাজ না করে সিংহ ভাগ টাকা আত্নসাতের পায়তারা চালাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানায় বিদ্যালয়ের দুইতলা ভবনের ছাদ ঢালাই ও ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ময়লাযুক্ত নিম্নমানের বালু, ৩নম্বও ইটের সুরকী পাউডার যুক্ত ও কমদামের মীর নামীয় সিমেন্ট। ভবনের ঢালাই নির্মাণ কাজের সময় উপস্থিত ছিলেন না স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য। কোন প্রকৌশলী কিংবা কোন প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমাণের কাজের সুযোগ পাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নিম্নমানের কাজের বিষয়ে স্থানীয়রা স্কুলের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান, ইউএনও ফারজানা খানমকে বিষয়টি অবগত করালে তাঁরা সরেজমিন পরিদর্শন করে বেশকিছু অনিয়মের চিত্র দেখতে পান। কাজ বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দেন তিনি। বিরিশিরি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন গতকাল রোববার ভবন নির্মাণের ইষ্টিমিট হাতে পেয়েছি এ বিদ্যালয়ে চাকুরীর বয়স মাত্র ৫দিন। ঠিকাদার তাঁর পছন্দ মতো কাজ করছেন এতে কোন সন্ধেহ নাই,আমাদের কোন কথাই শুনছেন না তিনি নিরোপায় হয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছি। বিরিশিরি ইউপি চেয়ারম্যান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএমসি কমিটি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম রুহু বলেন, বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়ে অনেক ব্যক্তি অভিযোগ করেছে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ করা হলে অল্প দিনেই ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়বে। ভবন ধ্বসে যেকোন ধরণের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি নির্মাণাধীন ভবনটির কাজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকি করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেণ।