কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রথম শ্রেণীতে পড়–য়া এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার কৈরাশ গ্রামের ছায়েদ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ীর ছাদে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণকারী পাশ্ববর্তী কাশিপুর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে নেছার উদ্দিন (৩৫)। সে ঢাকায় জুতার কারখানায় কাজ করে। ধর্ষক নেছার ৩ সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে শনিবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই ধর্ষককে আটক করে গতকাল রবিবার আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কারাগারে প্রেরণ করে। এদিকে পুলিশ ধর্ষিতা শিশুকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপালে পাঠিয়েছে।
ধর্ষিতার মা বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমার মেয়ে বাড়ীর পাশে খেলতে গেলে নেছার উদ্দিন তাকে ভাল খাবারের লোভ দেখিয়ে ছায়েদ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ীর বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সে আমার মেয়েকে বাড়ী আসার সময় কিছু টাকা দেয় এবং এ কথা কাউকে বললে তাকে হত্যার করার হুমকি দেয়। শনিবার সকালে মেয়ে কিছুটা অসুস্থ ছিলো কিন্তু আমি মনে করেছি স্কুলে না যাওয়ার জন্য সে এমন ভাব করছে। পরে তাকে জোর করে স্কুলে পাঠাই,স্কুল থেকে আসার সময় তাকে আবারও নেছার ডাক দিলে সে ভয়ে দৌঁড়ে বাড়ীতে এসে আমার কাছে বিস্তারিত ঘটনা বলে। আমি গ্রামের লোকজনকে ঘটনাটি জানালে নেছার বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। নেছারের ভাই জসিম উদ্দিন ধর্ষণের বিচার দাবী করলেও তার আরেক ভাই গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে সমঝোতা করার জন্য আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। আমার মেয়েকে আমরা নাঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই এবং থানায় অভিযোগ করি।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষিতা শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।