সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আনসার সদস্য মতিন হত্যার প্রধান আসামি ওসমান গণি সহ ঘটনার মূল হোতারা গ্রেফতার না হওয়ায় মামলার বাদীর পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম ঐ হতাহতের ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতাল বেডে অদ্যাবধি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এছাড়াও আরও কয়েকজন পঙ্গুত্ব বরণ করে রয়েছে চিকিৎসাধিন। বাদী পক্ষ আহতদের চিকিৎসাকাজে ব্যস্ত থাকায় ও পুলিশ মামলার মূলহোতা ওসমান গণিকে গ্রেফতার করতে না পারায় আসামি পক্ষের হুমকী ধামকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মামলার আসামি মোঃ মোন্নাফ(৩২), আবুল খায়ের(৩৫), মফিজুল ইসলাম(২৪), মোঃ হাবিবুল্লাহ(২২), ছানোয়ার হোসেন(৩৮), সাবান আলী(৫৭), আনোয়ার হোসেন(৪৭), আবুল বাশার(৩৮), মুনতাছির(২২) মামলার এ সকল মূল হোতারা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে বাদী পক্ষকে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে আসছে বলে বাদীর পরিবার অভিযোগ করেছে। অবিলম্বে মামলার প্রধান আসামি ওসমান গণি সহ মূলহোতাদের গ্রেফতারে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী সহ ভূক্তভোগী পরিবারটি দাবি জানিয়েছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। উল্লেখ্য, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আনসার সদস্য মতিন হত্যা ও ১৫ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০ জন, এজাহার নামীয় ২৩ জন মোট ৩৩ জনকে আসামি করে নিশ্চিন্ত পুর গ্রামের মৃত শাহ জাহান আলীর পুত্র শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জানুয়ারী রাতে রায়গঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করে।