মণিরামপুরে রুগ্ন ও গাভী গরু জবাই করে খুচরা কসাইদের কাছে পাইকারী হারে মাংস বিক্রেতা বহুল আলোচিত আলমগীরসহ তার চক্রের সদস্যদের নিয়ে তুল-কালাম কান্ড ঘটেছে। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে গভীর রাতে জবাইকৃত রুগ্ন গাভী গরুর মাংস হাতে-নাতে আটক করে দোকানবন্ধসহ মাংস না কিনতে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় কসাইরা। তাদের জোর দাবী আলমগীরসহ তার চক্রের সদস্যদের আটক পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে জনগণ ভাল মাংস খেতে পারবে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের মুরগীহাটা দূর্গাপুর মোড়ে রেজাউল ও আলীমের মাংসের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গরুর মাংস নিয়ে প্রতিবাদসহ কসাইদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, ইতিপূর্বের ন্যায় যশোর সদর উপজেলার কুয়াদা এলাকার আলমগীর ও তার লোকজন রবিবার ভোরে দু’টি রুগ্ন গাভী গরু জবাই করে ভ্যানযোগে মাংস আনে দূর্গাপুর মোড়ে। ওই মাংস পাইকারী হারে ক্রয় করে খুচরা বিক্রির জন্য ওই স্থানে হাজির হয় স্থানীয় কয়েকজন কসাই। এ সময় ওই মাংস মানুষের কাছে বিক্রি করা যাবে না মর্মে প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের খুচরা দোকান বন্ধ করে দেয় কসাই আব্দুল আলীম। ওই সময় স্থানীয় লোকজন এবং মাংস কিনতে আসা এক কলেজ শিক্ষকসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে সেখানে দেখা যায়।
ট্রাক টার্মিনাল মোড়ের খুচরা মাংস বিক্রেতা দূর্গাপুর গ্রামের বাবু বলেন, পাইকারী মাংস ব্যবসায়ী আলমগীর প্রতিনিয়ত রুগ্ন ও গাভী গরু জবাই করে তাদের কাছে বিক্রি করে থাকে। এ সময় উক্ত ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজনসহ মাংস কিনতে আসা বিভিন্ন পেশার মানুষ জানতে পারেন কসাইরা তাদের কাছে কি ধরনের মাংস বিক্রি করে থাকে। এক পর্যায় উক্ত মাংস খাওয়ার উপযোগী নয় মর্মে এদিন পাইকারী হারে মাংস ক্রয় থেকে বিরত থাকেন বাবুসহ কয়েকজন। কিছুক্ষণ পর থানার সামনে চান্নির মধ্যে খুচরা বিক্রির জন্য দুই জন কসাইকে ওই মাংস ক্রয় করে ভ্যানযোগে নিতে দেখা যায়।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কতিপয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে গভীর রাতে মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন ওই আলমগীরসহ তার লোকজন বিভিন্ন অজ্ঞাত স্থানে রুগ্ন ও গাভী গরু জবাই করে ভ্যান ও আলমসাধু যোগে দূর্গাপুর মোড়ে ওই মাংস নিয়ে আসে। ইতিপূর্বে চোরাই গরুর মাথাসহ পুলিশের হাতে আটক হয় আলোচিত এই আলমগীর। কুয়াদা এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, আলমগীর নামের ওই যুবক অধিকাংশ সময় বিভিন্ন নেশাদ্রব্য সেবন করে খারাপ গরু জবাই করার কারণে নিজ এলাকা কুয়াদা বাজারে তার মাংস বিক্রি বন্ধ হয়। এরপর সে মণিরামপুর পৌর শহরে আস্তানা গেড়ে দুই নম্বর মাংসের ব্যবসা শুরু করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মণিরামপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বাবু নামের একজন মাংস বিক্রেতা তার কাছে ফোন করেছিলেন। এ ঘটনা যাচাই-বাছাই করে প্রমাণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।