পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্বাধীনতা বিরোধী ও জামায়াত-বিএনপি’র পদধারীদের দিয়ে আ.লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর গোলদার দিপু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, জেলা পরিষদ সদস্য মো. সুলতান মাহামুদ খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনের বঙ্গবন্ধুর মূর্যাল চত্ত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। যুবলীগ নেতা এসএম রোকনুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার শেখ আবদুল লতিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ খান, জেলা পরিষদের সদস্য তুহিন হালদার তিমির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বিপংকর গোলদার দিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস প্রমূখ। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমসহ নাজিরপুরের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মতামতের কোন মূল্যায়ন না করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এমএ আউয়াল তার অনুসারীদের নিয়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮১টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত সহ গত বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতাকারীদের পদ দেয়া হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার শেখ আবদুল লতিফ তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের বিষয়টি এখন দেশময় আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা। রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের উত্তরসূরিরা এখন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। অর্থের বিনিময়ে দলের বিভিন্ন পদ-পদবি কিনেছেন তারা। আর এসব পদবি ব্যবহার করে স্থানীয় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চাকরিতে নিয়োগসহ ব্যবসা, বাণিজ্য, ঠিকাদারিসহ সবকিছু নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়েছেন। এমনকি মাদক ব্যবসায় জড়িত তাদেরই সিন্ডিকেট। এ ব্যাপারে উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান জানান, স্থানীয় কর্মীদের ভোটে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে স্বজন প্রীতি বা পকেট কমিটি গঠনের কোন সুযোগ নাই। তা ছাড়া প্রতিটি কমিটিতে কমিটি গঠনের জন্য পূর্ব নির্ধারিত ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতেই এ কমিটি গঠন করা হয়। এ ব্যাপারে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল বলেন, ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য মৎস্য ও প্রানী সম্পাদক মন্ত্রীর ভাই সহ তার নিজস্ব লোকদের উপস্থিতিতেই কমিটি গঠন করা হয়েছে।