পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা ২০টি অভিযোগের গণশুনানি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপজেলার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে করা অভিযোগকারীদের ২০টি অভিযোগের শুনানি হয়। শুনানিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা সরাসরি উপস্থিত হয়ে অভিযোগের জবাব দেন। পরে প্রত্যেকটি অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এ অভিযোগের শুনানি করেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, উপজেলা খাদ্যগুদামের বিরুদ্ধে ৪টি, চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যানের ৪টি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ৩টি, বাহেরচর কৃষি ব্যাংকের ৩টি, বন বিভাগের কানকুনিপাড়া ক্যাম্পের ১টি ও বন বিভাগের রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তার ১টি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ২টি ও রাঙ্গাবালী থানার ১টি অভিযোগের শুনানি ও সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
গণশুনানির আগে আলোচনা সভায় দুদকের কশিনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করুন। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের অধীকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন। আমি সেই সংগ্রামের ফসল ভোগ করছি। তাহলে আমারতো ওই চেয়ারে বসে এই খারাপ কাজগুলো করার কথা ছিল না। তারপরেও কিন্তু আমরা করছি। আমরা সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব সরকারি কর্মকর্তা খারাপ আমরা কিন্তু তা কখনো বলি না। মূলত অল্প কিছু সরকারি কর্মকর্তার জন্য কিন্তু আজকে আমাদের এই অবস্থা। এমনও সরকারি কর্মকর্তা পেয়েছি যে, কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছে। এসব করে আমরা যেন বিপদে না পরি। যারা এসব করবে তারা সবাই বিপদে পড়বে, সবাই ধরা পড়বে দুদকের কাছে।’
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. জুলফিকার আলী, জেলা পুলিশ সুপার মইনুল হাসান, দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান ও রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ প্রমুখ।