মেহেরপুরের গাংনীতে সড়ক মহাসড়ক গুলোর দু’পাশ বেদখল হয়ে গেছে। রাস্তার দুপাশে অন্তত ১০ ফিট দখল মুক্ত না করার কারণে দূর্ঘটনায় প্রানহানির মত ঘটনা ঘটলেও এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ যেন নীরব দশর্কের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে,গাংনী উপজেলার প্রায় প্রতিটা সড়কের দু’পাশ দখল করে অনেকেই চায়ের দোকান,ইট বালির স্তুুপ,খোয়া,বিছালী,গাছের গুঁড়ি, কাঠ, রাখার কারণে ব্যস্ততম সব সড়কগুলো রয়েছে দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে। পাশাপাশি রাস্তার উপর বাস,ট্রাক ও বেশ কিছু অবৈধ যান থামিয়ে রেখে জায়গা দখল করে রাখে। অবশিষ্ট জায়গা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারে না একারনে দুর্ঘটনা বেশি হয়। সড়ক মহাসড়ক দিয়ে হাজারও যাত্রী নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ফুটপথ গুলো দখল হওয়ার কারণে পথচারীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
শিক্ষার্থীরা জানান,দখলের প্রতিযোগিতার কারণে দখলদাররা সড়ক মহাসড়কের কয়েক ফিট পর্যন্ত দখল করেছে। তারা স্কুল কলেজে যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হন। পথচারীরা জানান,সড়কের দু’পাশে জাইগা দখল করার কারণে যানবাহন গুলো সাইড নিতে না পারার কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা নিত্য দিনের। তাই রাস্তার দুই ধারে অন্তত ১০ ফিট করে দখল মুক্ত রাখতে।
কয়েকজন ট্রাক ও বাস চালক জানান,সড়ক মহাসড়কের দু পাশে অন্তত ১০ ফিট করে জাইগা থাকলে কিছুটা দূর্ঘটনা কমে আসবে। গাংনী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ঘেসে নির্মান করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। রাস্তা পাশে কোন সাইড নেওয়ার জাইগা না থাকায় মুখোমুখি দূর্ঘটনা ঘটে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,গাংনী সাহারবাটি ভায়া কাথুলী সড়ক, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক, বামুন্দী-কাজিপুর,বামুন্দী তেঁতুলবাড়িয়া, গাংনী-আড়পাড়া, বাঁশবাড়িয়া চিৎলা, গাংনী-পলাশীপাড়া,সাহেবনগর-বেতবাড়িয়া,আকুবপুর-চরগোয়ালগ্রাম, গাংনী, হাটবোয়ালিয়া সহ ছোট বড় প্রায় সব সড়কের পাশে জাইগা না রেখেই দখলের মহাৎসব শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারীদের দাবি রাস্তা থেকে অন্তত দু ধারে ১০ ফিট করে পরিস্কার রাখা যাতে করে দূর্ঘটনা কমে আসবে। কোন ভাবেই ১০ ফিট রাস্তার পরে যারা ব্যবসা বানিজ্য করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে দেওয়ার আহবান জানিয়েছে।
মেহেরপুর সড়ক জনপথ প্রকৌশলী এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে এলজিইডি মেহেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আছাদুজ্জামানের ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল ফোনে কলদিলে তিনি গ্রহন করেননি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: সুলতান মাহমুদ বলেন,রাস্তা দখল মুক্ত করতে মাইকিং করা হবে। এ ছাড়া দ্রত সময়ের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন,ফুটপথ জনসাধারনের চলাচলের উপযোগী করার জন্য দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য বলা হচ্ছে। পরবর্তীতে দখলদাররা নিজের অবৈধ স্থাপনা না সরালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।