বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ছে ভুস্কুর-দাঁড়িয়াপুর পাকা সড়কে। ফাল্গুনের প্রথম বৃষ্টির পানিতে তৈরি হয়েছে কাদা। আর এই কাদায় মোটর সাইকেল পিছলে পড়ে আহত হয়েছে এক শিক্ষক।
জানা গেছে, উপজেলার ভুস্কুর-দাঁড়িয়াপুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার কাদাপানিতে একাকার। এই কাদার কারণে যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত দূর্ভোগের মুখে পড়েছেন মোটর সাইকেল চালকরা। মঙ্গলবার সকালে হাটকড়ই থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে সহকারী শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস থালতা মাজগ্রাম হাইস্কুলে যাওয়ার পথে পালি নামকস্থানে পাকা সড়কে কাদায় পিছলে পড়ে যায়। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়। তিনি পায়ে জখম হয়ে কাহালু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারপরেও অনেকে দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে মোটর সাইকেল চালাচ্ছেন।
লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই এলাকায় বিভিন্ন স্থানে পুকুর খনন করা হয়। সেই পুকুর খননের মাটি নেওয়ার জন্য সড়ক দিয়ে দিনরাত চলাচল করে ট্রাক্টর। পরিবহনের সময় মাটি পড়ে সড়কে। গত দুইদিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সড়কে কাদাপানির সৃষ্টি হয়েছে।
আমড়া গোহাইল এলাকার বাসিন্দা নান্টু মিয়া বলেন, ‘এতোদিন ট্রাক্টরের জন্য বিপদে ছিলাম। এখন কাদার মধ্যে আছাড় খেতে হচ্ছে।’ ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে। আর এই যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে কাদামাটি দোকানের ভিতরে চলে আসে। আগে ধুলা খাইতাম। এখন খাচ্ছি কাদা। আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি।’
বগুড়ার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুজ্জামান জানান, ট্রাকে বা ট্রাক্টরে মাটি বহন করায় পাকা সড়কে বৃষ্টির পানিতে কাদা হয়ে দূর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তবে বিষয়টি খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।