গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করে মার্কিন প্রবাসী এক ব্যক্তি বক্স কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে করে শতাধিক বসতবাড়িতে পানি উঠাসহ অন্তত হাজার বিঘা জমির ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জ-মীরগঞ্জ-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কুড়িপাড়া নামক স্থানে এলজিইডি সুন্দরগঞ্জ কর্তৃক নির্মিত বন্যা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র বক্স কালভার্টের সম্মুখ ভাগ মাটি কেটে ভরাট করেছেন ওই এলাকার মৃত চিত্ত চন্দ্র সরকারের পুত্র মার্কিন প্রবাসী নয়ন চন্দ্র সরকার। ফলে কালভার্টের মুখ ভরাট ও বন্ধ করে বাড়ি নির্মিত হলে কুড়িপাড়া ও দোলাপাড়ার উজানে থাকা শতাধিক বসতবাড়িতে পানি উঠাসহ ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি পানির চাপে রাস্তায় ভাঙ্গন ধরবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, এলাকাটি নীচু হওয়ায় এখানকার বসতবাড়িসহ ফসলি জমিকে ভারিবৃষ্টি ও বন্যার কবল থেকে রক্ষা করার জন্য বছর চারেক আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কর্তৃক এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যাতে বর্ষার সময়ে সড়কের দু’পাশের বন্যা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক থাকে। পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি যেন না হয়। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে ওই প্রবাসী জনৈক বৃন্দাবন সাহার নিকট থেকে কালভার্টের সম্মুখভাগে ১৪শতক জমি ক্রয় করেন। গত বছর ওই প্রবাসীর ভাই চন্দন চন্দ্র সরকার বালু উত্তোলন করে কালভার্টের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করলে সুন্দরগঞ্জ এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তা বন্ধ করে দেন। কালভার্টের মুখ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও চন্দন চন্দ্র সরকার ওই জমিতে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেছেন।
এলাকার কৃষক শচীন চন্দ্র মোদক, চন্দ্র কুমার মোদকসহ আরো অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা এ প্রতিবেদককে জানান-“ওই কালভার্টটির মুখ বন্ধ করা হলে শতাধিক হিন্দু পরিবারের বাসস্থানসহ অন্তত হাজার বিঘা জমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে। ঘটবে ফসলহানি।”
প্রবাসীর ভাই চন্দন কুমার বলেন- “আমি ওই কালভার্টের ৭/৮ ফুট জায়গা ফাঁকা রাখবো।তবে ভবিষ্যতে যদি বন্ধ করে দেই তখন পানি নিষ্কাশনের জন্য একটা কালভার্টের ব্যবস্থা করে দিব।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোলেমান আলী জানান-“কালভার্ট যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।