দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ২৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভ্রমণ বিলাসী প্রধান শিক্ষক ৬ দিনের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ জনিত ছুটি শেষে ৪ দিনের নৈমত্তিক ছুটি নিয়ে এখন সৈকত শহর কক্সবাজারে!
মঙ্গলবার তারা সারাদিন কাটিয়েছেন দেশের একমাত্র শৈবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন্সে। তাদের নেতৃত্বে আছেন পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও কতিপয় শিক্ষক নেতা। এতে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৬ দিনের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ নেয় উপজেলার ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন নারীসহ ৩০ জন প্রধান শিক্ষক। এর মধ্যে ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ প্রধান শিক্ষক নৈমেত্তিক ছুটি নিয়ে এ ভ্রমণে যোগ দিয়েছেন।
তবে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম আজিজুল হক, আবদুল মান্নান ও মরিয়ম নেছা বলেন, গত সোমবার থেকে ৪ দিনের ছুটিতে রয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান শিক্ষকদের দুই-তিন জন ছাড়া সময়াভাবে অনেকে এসএমএস ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ছুটির আবেদন করেছেন। পরে, তারা হার্ড কপি দিবেন বলে বিভিন্ন ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক কর্মকর্তারা (এটিও) দাবী করেন।
এতোগুলো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রশিক্ষণ জনিত ছুটি ও ভ্রমণ জনিত নৈমত্তিক ছুটি গ্রহণের ফলে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষদিগ্রস্ত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আজিজুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষকরা কারা কিভাবে ছুটি নিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তবে, আমার ক্লাস্টারের কোন প্রধান শিক্ষক কক্সবাজার সফরে যাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ বলেন, একযোগে এতোগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছুটিতে থাকায় শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াই স্বাভাবিক।
এব্যাপারে কক্সবাজারে অবস্থানরত পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন কল ফরোয়ার্ডেড প্রদর্শন করায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।