যশোর সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের কুতুবপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও ক্যাশিয়ার গত ৬ বছর ধরে কোন আয় ব্যয় হিসাব দিচ্ছে না। এ সময় তারা দুইজনে প্রায় ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সহসভাপতি শাহিনুর রহমান এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন। যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দেয়া হয়েছে। দায়েরকৃত অভিযোগে ৬০ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষর করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬০ বছর আগে এলাকাবাসী কুতুবপুর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর গত ৬ বছর আগে কুতুবপুর গ্রামের জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং জলকর গ্রামের আবদুল ওদুদ ক্যাশিয়ার নিযুক্ত হন। এরপর তারা দুইজনে হিসাব না দিয়ে নিজেদের মত পরিচালনা করতে থাকে। এ সময় মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক ইকতার আলী হিসাব নিরক্ষণের ব্যাপারে কয়েক বার নোটিশ দিলেও সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এবং ক্যাশিয়ার আবদুল ওদুদ হাজির হননি। এ নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর ধারণা এ মাদ্রাসার অনুদানের প্রায় ৫ লাখ টাকা সভাপতি ও ক্যাশিয়ার আত্মসাৎ করেছেন। যার কারণে সাধারণ সম্পাদকের নোটিশ দেয়ার পরও তারা হিসাব নিরীক্ষণ করেননি এমনকি কোন আলোচনা করেননি।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নোটিশ প্রদানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সভাপতি ও ক্যাশিয়ার দুইজনে নিজেদের মত করে টাকা পয়সা খরচ করছে। কোন কিছুর হিসাব দিচ্ছে না। এ কারণে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হিসাব না দেয়ার ব্যাপারে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারী কমিটি গঠন হলে পরাজিত শাহিনুর এসব অভিযোগ দিচ্ছে।