নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মধুয়াকোনা এ.ইউ আলিম মাদরাসার দুই দাখিল পরীক্ষার্থীকে(কৃষি ব্যবহারিক)পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় মারধরের অভিযোগ উঠেছে দ্বীনি আলিম মাদ্রাসার তিন পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদ্রাসার গেইটের সামনে এ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদ্রাসাটি কেন্দ্র হিসেবে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঐ কেন্দ্রে মধূয়াকোনা এ.ইউ আলিম মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। মারপিটের শিকার মধূয়াকোনা এ.ইউ আলিম মাদ্রাসা’র পরীক্ষার্থী মোশারফ হোসেন(১৬), ইসরাফিল মিয়া(১৬) প্রতিনিধিকে জানান, দ্বীনি দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে শুরু থেকে প্রথম সিটে বসে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। আমার পিছনের সিটে বসে পরীক্ষা দিচ্ছিল দ্বীনি দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী নুরুল্লাহ(১৬),নুরু(১৬) ও ইমরান(১৬)। নুরুল্লাহ প্রথম পরীক্ষা থেকেই মোশারফ হোসেন এর পরীক্ষার খাতা দেখে লেখার জন্য সুযোগ দিতে বলেন। কিন্তু খাতা দেখাতে রাজী হননি মোশারফ হোসেন। দ্বিতীয় পরীক্ষার দিনে আবার বিরক্ত করতে লাগলে ডিউটিরত শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। খাতা না দেখানোর জের ধরে পূর্ব থেকেই হুকমী দিয়ে আসছিল নুরুল্লাহ,নুরু ও অজ্ঞাত ১জন। সেই সুযোগে বুধবার কৃষি ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হতে থাকলে মাথার পিছনে এলোপাতারি মারতে শুরু করে তারা। পরে অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা দৌড়ে এলে ঘটনাস্থল থেকে সরেযায়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দ্বীনি আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও কেন্দ্র সচিব আবদুর রহমান নাটকীয় ভূমিকার জন্ম দেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থীর বিচার করতে পারবেন না বলে সংবাদকর্মীদের স্পষ্ট করেণ। দ্বীনি আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও কেন্দ্র সচিব আবদুর রহমান প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি আমি মিমাংসার চেষ্টা করছি। মধুয়াকোনা এ.ইউ আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আজিজুল ইসলাম প্রতিনিধিকে জানান, আমার দুই দাখিল পরীক্ষার্থীকে মারপিটের বিষয়টি আমি শুনে কষ্ট পেয়েছি। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের প্রধান ও কেন্দ্র সচিব এটি আমার দাবী। এ বিষয়ে উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন’র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। আমি দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বলেছি বিষয়টি মিমাংসার জন্যে। যদি তারা ব্যর্থ হয় তাহলে বিষয়টি ইউএনও’কে জানাতে বলেছি।
এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ইউএনও ফারজানা খানম’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয় আমাকে কেউ অফিসিয়ালী জানাননি তবে দুই প্রতিষ্ঠান বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নন অফিসিয়ালী শুনেছি।