নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকারকে হত্যার ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল,সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
সূত্র জানায়, নিহত বদর খন্দকারের স্ত্রী নাজনীন বেগম বাদি হয়ে লোহাগড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিকদার নজরুল ইসলাম, লোহাগড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ফরিদ শেখ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল আজাদ সুজন সহ ১৬জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের নামে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ব্যবসায়িক বিরোধ সহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার প্রতিপক্ষের সাথে বদর খন্দকারের বিরোধ চলছিল। গত সোমবার সন্ধ্যার আগে চরবকজুড়ি গ্রামের খন্দকার ময়ের আলীর ছেলে লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বদর খন্দকার নিজ ইটভাটা থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়িতে ফেরবার পথে টিচরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সাবেক চেয়ারম্যানের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেবার পথে তার মৃত্যু হয়।
হত্যা মামলার আসামি শিকদার নজরুল ইসলাম, ফরিদ শেখ, আব্দুল্লাহ আল আজাদ সুজনের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার শহরে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিকদার আবদুল হান্নান রুনু, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম কামাল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান,আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আরজু, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন,বাবর খন্দকার, মহসিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। দিঘলিয়া ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ হত্যাকান্ডে জড়িতদের যদি দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতো তবে আজ হয়তো বদর খন্দকার হত্যা হতো না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস জানান, হত্যাকান্ডের পরে পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন চরকালনা গ্রামের খোকা মোল্যার ছেলে মুন্না মোল্যা(২৫) ও ইবাদত আলী মোল্যার ছেলে রুহল মোল্যা(৫০)। গ্রেফতারকৃত মুন্না বুধবার নড়াইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের হাকিম আমাতুল মোর্শেদার নিকট ১৬৪ ধারায় হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত অপরজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।