রংপুরে অসময়ে ভাঙছে ঘাঘট। এ নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের মোগলেরবাগ শান্তিপাড়া গ্রামবাসী। নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যেই বিলীন হয়েছে কৃষকের কয়েক একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে গ্রামটি নিশ্চিহৃ হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে বৃহস্পতিবার ভাঙ্গন কবলিত গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের তালুক তামপাট মোগলেরবাগ শান্তিপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর ভাঙ্গনে কৃষকদের কয়েক একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বিলীন হতে বসেছে আবাদি জমি, মসজিদ, বসতবাড়ি ও সড়ক। এতে এই গ্রামের মানুষের মধ্যে নদী ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বর্ষা মৌসুমে ঘাঘটের এই ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছিল, বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে ভাঙ্গন আরও বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এখানকার মানুষেরা।
তালুক তামপাট শান্তিপাড়ার বাসিন্দা ইব্রাহীম খলিল ও মামুন মিয়া জানান, ইতোমধ্যে গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষককের আবাদি জমি ঘাঘটের গর্ভে চলে গেছে। তারা শেষ অবলম্বনটুকু হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এজন্য ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে নিশ্চিহৃ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুুপুরে নদী ভাঙ্গন কবলিত গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ঘাঘট নদীর ভাঙ্গণ রোধ ও বাঁধ সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত দেন।
এ সময় ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদ শামিম, নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার নাজমা, পায়রাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জার রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ ও সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: ঘাঘট নদী ভাঙ্গণ ও বাঁধ রক্ষার দাবীতে সম্প্রতি নগরীর কাছারি বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন নগরীর ৩২ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডবাসি। পরে জেলা প্রশাসক ও সিটি মেয়রকে স্বারকলিপি দেয় তারা।