কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এবং সুবিধা বঞ্চিত নেতারা এখন প্রকাশ্যে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই পক্ষ পাল্টা-পাল্টি তিনটি সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি ও সংগঠন বিরোধী নানান কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলেছেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতি শিউলী কে কেন্দ্রিয় কমিটি বহিস্কার করেন। পঞ্চম উপজেলা এবং ইউপি নির্বাচনে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। ওই সময় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্য রুপ নেয়। গত বছরের ৫ নভেম্বর কেন্দ্রিয় কমিটি মতি শিউলীর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। এ ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগ দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে যায়। এতে এক পক্ষে রয়েছে, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন তালুকদার, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মতি শিউলি, ১ নং সিনিঃ সহ-সভাপতি সোলায়মান সরদার বাদশা এবং অপর পক্ষে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু। বর্তমান উভয় পক্ষের কাদা ছোঁড়াছুড়িতে তৃণমূল নেতা কর্মী সূধিসমাজের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, গত ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন তালুকদার তার বাসভবনে দলীয় কোন্দলের শিকার ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস, সরকারী ও দলীয় কর্মসূচিতে তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
দলীয় কোন্দলে আত্মহত্যার হুমকি সাবেক এমপি‘র এমন খবর দৈনিক কালের কণ্ঠসহ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
দুই দিন পর গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ এনে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।
অপরদিকে, উপজেলা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলনের কঠোর সমালোচনা করে শুক্রবার দুপুরে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন তালুকদার তার বাসভবনে ফের সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়াম্যান কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার সময় কোন দূর্নীতি অনিয়ম হয়নি। আমি দলের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে দলে নুতুন কর্মী সৃষ্টি করে দলকে সুসংগঠিত করেছি। যারা টিআর, কাবিখা, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি করে তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতি শিউলী, সিনিঃ সহ-সভাপতি সোলায়মান সরদার বাদশা, সিনিয়র আ.লীগ নেতা বাবর আলী, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মিঠু দেব প্রমুখ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন, আমাদের জনপ্রিয়তা দেখে তাদের হিংসা হচ্ছে। বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে তারা পাগলের প্রলাপ বকছে