সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের হত্যা-নির্যাতন, মসজিদ ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুফতি মাও.কিফায়েতুল্লাহ আজহারী।
শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদ ও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার আয়োজনে স্থানীয় আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দু’দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী সা.সম্মেলনে বয়ানে মুফতি মাও.কিফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, বাংলাদেশে মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। মোদির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গুজরাট, কাশ্মীর, দিল্লীসহ অনেক রাজ্য মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে। ভারতের মুসলমানদের উপর চরম নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। তাই যার হাতে মুসলিম গণহত্যার দাগ লেগে আছে তাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিবে না। অবিলম্বে মোদির রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ বাতিল করা হোক! সফর বাতিল না করলে তৌহিদী জনতার রক্তের লাল গালিচা বিচানো হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে তা পরিস্কার রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। অথচ দিল্লীর মুসলমানরাই শত বছর সারা ভারত শাসন করেছে। মুসলমানদের শাসনকালে অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদেরকে আঘাত করা হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করার আহবান জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কওমী মাদরাসাগুলোকে সরকারী স্বীকৃতি দিয়ে কওমী জননীর উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তাই আপনাকে উলামায়ে কেরামগণ শ্রদ্ধার সাথে অভিনন্দন জানিয়েছে।
তিনি কাদিয়ানীদেরকে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবী জানান। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার সাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাও. শাব্বির আহমেদ রশিদের সভাপতিত্বে অন্যন্যদের মধ্যে বয়ান করেন, মুফতী নজরুল ইসলাম কাশেমী, মাও. ইমদাদুল্লাহ,মাও.শফিকুর রহমান জালালাবাদী প্রমুখ। শনিবার দ্বিতীয়দিনে বয়ান করবেন,মাও.গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ক্বারী আবদুল ওয়াদুদ, মাও.শরীফ মুহাম্মদ,মাও.শামসুল ইসলাম,মাও. মাহমুদুল হাছান প্রমুখ। সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার উলামায়ে কেরামগণ, ইমামগণসহ তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিলেন।