চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রীর বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু এমনটি হতে পারে তা বুঝতে বাঁকী ছিল না কনে পরিবারের। সেই কারণে তারা ওই ছাত্রী কে গোপন স্থানে রেখে সামনে রাখে এক বিবাহিত মেয়ে কে হাজির করে। কিন্তু এক বছর আগের বিবাহিত এবং সন্তান সম্ভবা হলেও সেও ছিল নাবালিকা। এ কারণে ভ্রাম্যমান আদালত ওই নাবালিকার বাবা নাসিম উদ্দিন কে আটক করে অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছেন। এদিকে, এরপর দিনই এক সপ্তাহ পুর্বে বিয়ে হওয়া চতুর্থ শ্রেনির ওই ছাত্রী কে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে বরের হাতে। ভ্রাম্যমান আদালতকে ধোঁকা দিয়ে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে সান্তাহার পৌর শহরের রেলওয়ে ইয়ার্ড কলোনি বস্তিতে।
জানা গেছে, ওই বস্তির বিলকিস বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া জোসনা-হাসান দম্পতি ২১ ফেব্রুয়ারি মৌওলানা দিয়ে তাদের চতুর্থ শ্রেনির মেয়ের বিয়ে পড়ায় এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকতা করার দিন ধার্য করে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু গায়ে হলুদ আসরে ওই ছাত্রী কে না রেখে রাখা হয় নিকটাত্মীয় নাসিম উদ্দিনের মেয়ে নাসরিন (১৬) কে। চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রীর বাল্য বিয়ে সংক্রান্ত খবর পেয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু এ সময় তার পরিবর্তে মেলে এক বছর পুর্বে বিয়ে হওয়া এবং সন্তান সম্ভবা নাসরিন কে। নাবালিকা কে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত বিয়ের আসরে পাওয়া নাসরিন আক্তারের বাবা নাসিম উদ্দিন কে আটক এবং ২০ হাজার টাকা অর্থাদন্ডাদেশ প্রধান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ। জোসনা-হাসান দম্পতি বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালত কে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর পর দিন শুক্রবার রাতে নির্বিঘেœ তাদের ওই মেয়ের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি করেছে।