কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে লাকসামের চন্দনা বাজারে ঐতিহ্যবাহী উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৩৫ইং সালে প্রয়াত জমিদার গিরিশ চন্দ্র রায় বাহাদুর চৌধুরীর দানকৃত ১.৭৫ একর ভূমিতে মনপাল গ্রামের বাসিন্দা হাজী আবদুল জব্বার ১৯৬৫ইং সনে প্রথমে জুনিয়র মাদরাসা ও পরে উত্তরদা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে সাড়ে ১১শত ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত এবং প্রতিষ্ঠার পর হতে বিদ্যালয়টি অত্র অঞ্চলে শিক্ষার ক্ষেত্রে আলোকিত বিদ্যাপীঠ হিসেবে সু-পরিচিত লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর এ বিদ্যালয়টিতে লেখা-পড়া করে বহু জ্ঞানী-গুনী ও শিক্ষাবিদ ব্যক্তি সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির পাশ দিয়ে কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবস্থিত এবং মহাসড়কের চার লেনের সম্প্রসারণ করার কাজ চলছে। মহাসড়কের পুর্ব ও পশ্চিম দু’পাশে বিদ্যালয়টির ভূমি রয়েছে। বর্তমানে অবস্থিত সড়কের পূর্ব পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন ভূমি নেই এবং কোন অধিগ্রহণও নেই। মহাসড়ক পূর্ব পাশ দিয়ে সম্প্রসারণ করা হলে ঐতিহ্যবাহী উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়টির দু’টি অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন এবং বাউন্ডারী ভেঙ্গে ফেলতে হবে। এতে করে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত এবং লেখা-পড়ার কার্যক্রম ব্যাহত হবে। বিদ্যালয়টির রক্ষায় প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস মিয়া পর পর দু’বার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে চার লেনের সড়ক পশ্চিম দিক দিয়ে সম্প্রসারণের জন্য আবেদন করেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব রক্ষার দাবী করছেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস মিয়া বলেন সড়কের পশ্চিমপাশে বিদ্যালয়ের প্রচুর ভূমি বিদ্যমান রয়েছে এবং পশ্চিম দিক দিয়ে মহাসড়ক সম্প্রসারণ করলে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কোন ক্ষতি হবে না। এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত ও বর্তমান সড়কের পশ্চিম দিক দিয়ে মহাসড়কের চার লেনের কাজ সম্প্রসারণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সাইফুল আলম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন। কিন্তু বিদ্যালয়টি রক্ষায় এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে বিদ্যালয় পর্ষদ, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ভেঙ্গে ফেলার আশঙ্কা করছেন এবং তারা ব্যাপক চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিদ্যালয়টি রক্ষার দাবি করছেন এলাকাবাসী।