জনকল্যানে ও সমাজসেবায় মহতী উদ্যোগ ও অবদান রেখে চলেছেন আলহাজ¦ মোঃ আবুল বাশার। তিনি সমাজের উন্নয়ন করতে চান। তার ইচ্ছে সমাজের উন্নয়ন করা। সমাজের উন্নয়ন হলে মানুষের উন্নয়ন হবে। তিনি লাকসাম-মনোহরগঞ্জের ঝলম গ্রামের মরহুম শাহসুফী মাষ্টার মোঃ সুলতান আহমদ মাইজভান্ডারী (রঃ) ও মরহুমা মিসেস সায়েরা খাতুনের ৩য় ছেলে। চার সন্তানের জনক তিনি। তার স্ত্রী মিসেস জাহানারা পারভীন একজন সরকারী কর্মকর্তা। জানা যায়, আলোকিত মানুষ আলহাজ¦ মোঃ আবুল বাশার একজন ব্যবসায়ী, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার গরীব, দুস্থ্য, বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন মানুষকে ঘর নির্মাণে ঢেউটিন, খাদ্য সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি মনোহরগঞ্জ বাজারের ডাকাতিয়া নদীর পশ্চিমপাড়ে ঝলম গাউছিয়া মার্কেটের পাশে ৬ তলা বিশিষ্ট সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত ঝলম গ্রামের মোল্লা বাড়ীর প্রধান ফটকে রয়েছে সায়েরা সুলতান মসজিদ, হেফজখানা ও ঈদগাহ মাঠ। ঈদগাহ মাঠের পাশে রয়েছে মরহুম শাহসুফী মাষ্টার মোঃ সুলতান আহমদ মাইজভান্ডারী (রঃ) ও তার স্ত্রী মিসেস সায়েরা খাতুনের মাজার শরীফ। এ মাজার শরীফে মাইজভান্ডার শরীফের ভক্তরা ও এলাকার ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বরা শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিবেদন করছে। তার পিতা মরহুম শাহসুফী মাষ্টার মোঃ সুলতান আহমদ মাইজভান্ডারী (রঃ) ও তার মাতা মিসেস সায়েরা খাতুন স্মরণে ঈদগাহ মাঠে প্রতিবছর হযরত খাজাবাবা মাইজ ভান্ডারী (রঃ) শরীফের ঔরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। ঔরস শরীফে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাইজভান্ডারী শরীফের ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পিতা-মাতার স্মরণে সায়েরা-সুলতান ফাউন্ডেশন রেজিঃ নং- এস ২৫২২/১১৫ তাং- ২০০১ইং। ০৭ ভাই ০৫ বোনের মধ্যে আলহাজ¦ মোঃ আবুল বাশার তৃতীয়। তার পিতা মরহুম সুলতান আহমদ মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক ও মাইজভান্ডার শরীফের খেলাফত পান এবং মাতা মরহুম ছায়েরা খাতুন একজন সু-গৃহিনী ও রতœগর্ভা মা ছিলেন। লাকসাম-মনোহরগঞ্জে উচ্চ শিক্ষিত ও আলোকিত সু-পরিচিত তার পরিবার। তার চার সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে নুসরাত জাহান চৈতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইনফরমেশন সায়েন্স এ- লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্টে ২য় শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে। বর্তমানে স্বামীসহ অষ্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তার স্বামী মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার এবং অষ্ট্রেলিয়ার রেলওয়ে কর্মকর্তা। ২য় মেয়ে ড. নূরে হাসিন ঐর্শী অষ্ট্রেলিয়ার রয়েল মেলবন বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলোজিতে পোস্ট গ্রেজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করে বর্তমানে আইটি প্রজেক্ট্রে কর্মরত। ৩য় মেয়ে নুজাত নাওয়ার ব্রিটিশ কাউন্সিলে ও-লেভেল পড়ে। ৪র্থ জন ছেলে জাহিন যাওয়াদ ইউনিভারসিলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আলহাজ¦ আবুল বাশারের বড় ভাই লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ শিল্প ও কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিমকের্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এড.এটিএম আলমগীর, ২য় ভাই সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ন সচিব একেএম জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রী মিসেস হোসনে আরা বেগম ঢাকা ইডেন মহিলা বিশ^বিদ্যলয় কলেজে গণিত বিভাগের সাবেক হেড ছিলেন। ৪র্থ ভাই ডঃ বাবুল হায়দার অর্থনীতিতে এমএ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ছোট ভাই কামাল হোসেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ১০ বছর ধরে ভাইস চেয়ারম্যান। ছোট বোন প্রফেসর রোশন আরা ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান ও জেসমিন আক্তার একজন ব্যাংকার। আলহাজ¦ মোঃ আবুল বাশার সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার গরীব, দুস্থ্য, বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন মানুষকে ঘর নির্মাণে ঢেউটিন, খাদ্য সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখে চলেছেন। জনকল্যাণে ও সমাজসেবায় আলোকিত মানুষ সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, দানবীর ঢাকা আল রাবেতা ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার আলহাজ¦ মোঃ আবুল বাশার বলেন আমি কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে, কোন দলের সাথে জড়িত নই। সায়েরা-সুলতান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী হিসেবে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে যতটুকু সম্ভব সমাজ উন্নয়ন কাজে জড়িত থেকে বেঁচে থাকতে চাই। সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সমর্থন করি। আগামী দিনে যাতে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলে, সেও প্রত্যাশা কামনা করি। তবে সরকারী ভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হলে জনকল্যাণে সায়েরা-সুলতান ফাউন্ডেশন আরো অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারবে। সু-গৃহিনী ও রতœগর্ভা মা মরহুমা সায়েরা সুলতান ও মরহুম শাহসুফী মাষ্টার মোঃ সুলতান আহমদের ঘরে জন্ম নেয়া ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষিত ও আলোকিত এবং সমাজসেবায় অবদান রাখায় এলাকায় তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি বৃদ্ধি পেয়েছে।