নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় ৪জন নিহতের ঘটনা ও ৮দফা দাবীতে দ্বিতীয়দিনের মতো সোমবার সকাল থেকেই পৌরশহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, স্থানীয় ব্যবসায়ীগন নিরাপদ সড়ক ও ৮দফা দাবীতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমে শান্তিপুর্নভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীগন শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে সোমবার সকাল থেকেই দোকানপাট বন্ধ রাখেন। দুরপাল্লার সকল বাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী সাধারণ পড়েছে চরম বিপাকে। অপরদিকে অবরোধ চলাকালিন সময়ে ইজারাদার আলাল সর্দার এর নির্দেশে বালুমহালের শ্রমিকগন শিক্ষার্থীদের মারধোর করে ছত্রভঙ্গ করার সময় ৫জন কে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র নেতা শাওন, সৈকত, আতিক, অভি, রাতুল জানায়, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শান্তিপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় নিরাপদ সড়কের দাবীতে দ্বিতীয় দিনের মতো শান্তিপুর্নভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এরইমধ্যে বালু মহালের ইজারাদার আলাল সর্দারের নির্দেশে বালুমহালের শ্রমিকদের দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালালে ৫জন শিক্ষার্থী আহত হয়। আমাদের উপর হামলা কেন? এর সঠিক বিচার সহ ৮ দফা দাবী অবিলম্বে ট্রাক চলাচলে বাইপাস রাস্তা নির্মান সহ নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা প্রদান বিষয়ে ৮দফা দাবী না মানা পর্যন্ত রাস্তায় অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানান। অবরোধ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত দুর্গাপুর সার্কেল এর এএসপি মাহমুদা শারমিন নেলী প্রতিনিধিকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অবরোধ কর্মসূচি পালনে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয় নিয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মহোদয় সোমবার বিকেলে আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন, আশাকরি শান্তিপুর্ন ভাবে সমাধান হবে। অবরোধ চলাকালিন সময়ে সড়কে তীব্র যানজট লেগে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করা সহ সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে রাখে। এ বিষয়ে সুসং সরকারী কলেজ মাঠে আন্দোলনকারী,জনতা ও প্রশাসন সোমবার বিকালে বৈঠকে বসেছেন।