গ্রামের সকল পরিবারে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো। বঞ্চিত ছিলেন শুধুমাত্র গেরিল্যা বিবি। টাকাণ্ডপয়সা না থাকায় সময়মত সংযোগ নিতে পারেননি। তাই কুপির আলোতেই চলছিল তার রাতের কাজকর্ম। অবশেষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে তিনি বিদ্যুতের সংযোগ পেয়েছেন। আলোর ফেরিওয়ালা সোমবার বেলা ১০টার দিকে তার বসতবাড়িতে সংযোগ দিয়ে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করে দেন।
হতদিরদ্র এই নারী নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের হাছেন সরদারের স্ত্রী। এ দম্পতির সম্বল বলতেই বসতভিটার মাত্র দুইকাঠা জমি। এতে টিনের বেড়া ও ছাউনি দিয়ে বসবাস করেন তারা। স্বামী হাছেন সরদার কৃষি শ্রমিক ও স্ত্রী গেরিল্যা বিবি অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে সংসার চালান।
বিষয়টি জানতে পেরে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ মান্দা জোনাল অফিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান হতদরিদ্র পরিবারটিতে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার উদ্যোগ নেন। সোমবার সকালে আলোর ফেরিওয়ালা টিম নিয়ে হাজির হন গেরিল্যা বিবির বাড়ি। তাৎক্ষনিক সংযোগ দিয়ে আলো জ্বালিয়ে দেয়া হয় গেরিল্যা বিবির ঘরে। হঠাৎ এভাবে সংযোগ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই নারী।
এ প্রসঙ্গে গেরিল্যা বিবি বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। কোথায় যোগাযোগ করে কিংবা কিভাবে বিদ্যুৎ নিতে হয় জানি না। টাকাণ্ডপয়সাও নেই। তাই এতদিন বাতির আলোতেই রাতের রান্না-বান্নাসহ সকল কাজ করতে হয়েছে। যোগাযোগ ছাড়াই হঠাৎ এভাবে বিদ্যুৎ পাব এটা কল্পনাও করিনি। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মান্দা জোনাল অফিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার প্রত্যেকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে গোরিল্যা বিবির বাড়িতে এ সংযোগটি দেয়া হয়েছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন, পল্লী বিদ্যুৎ মান্দা জোনাল অফিসের জুনিয়র প্রকৌশলী রওশন আলী, পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ারিং ইন্সপেক্টর শামশুল হুদা, লাইনম্যান নাদিম মাহমুদ প্রমুখ।