বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌর সভার মেয়র এ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট বোঝার শক্তি এই সরকারের নেই। এ সরকারের লোকজনদের ঘর থেকে হাজার হাজার শত শত কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে, অথচ তাদের এখন সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট বোঝার শক্তিও নেই। সোমবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিদ্যুৎ, পানির মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানব বন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ্যাড. মাহবুবর বলেন, এই সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকে যে সরকার অবৈধভাবে জনগণের কোনো ম্যান্ডেড না নিয়েই জোর করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশের গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিচ্ছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা এখন তাদের কাছে কোনো প্রশ্নই নয়। সমস্যাটা হচ্ছে এই আওয়ামী লীগ যেহেতু জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেজন্যই জনগণের যে ব্যথা-বেদনা দুঃখ-দুর্দশা, কষ্ট এগুলো তারা বুঝতে পারে না। এ সরকার এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা মানুষের কষ্টটা বুঝতে পারেন না। তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা মনে করি তিনি শুধু বিএনপি নেতা নন, তিনি সমগ্র দেশের মানুষের মুক্তির নেতা। তিনি গণতন্ত্রের মুক্তির নেতা। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার যারা সমস্ত মানবিক বোধ ধ্বংস করে দিয়েছে তারা আজকে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আটকে রেখেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশেই তারা বেগম খালেদা জিয়াকে যেটা তার প্রাপ্য জামিন, সে জামিন তারা দিচ্ছে না। আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তিনি নেতা মুক্ত হবেন। বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনা মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারি তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল করিম বাদশা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আসগর তালুকদার হেনা, লাভলী রহমান, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সহিদ উন নবি সালাম, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, ওমর ফারুক খান, মনিরুজ্জামান মনির, শাকিলুজ্জামান শাকিল, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, বগুড়া জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হাকিম, শহর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান শামীম, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম রাসেল মামুন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর, শ্রমিক দলের সাইদুল কবির, লিটন শেখ বাঘা, ছাত্রনেতা সোহেল রানা প্রমুখ।