কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাদিয়ানীদের জেলা ইজতেমা হচ্ছে না। মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে আগামী ৫ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলা ইজতেমা বাস্তবায়নের লক্ষে ভারতের বিশ্ব তাবলীগ মারকাজের আমীর মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীদের আয়োজনে এই জেলা ইজতেমার প্রস্ততি চলছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জের উলামায়ে কেরামগণ ইজতেমার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামগণ ও তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বীগণ অবস্থান করে প্রতিবাদ সম্মেলন করে। কিশোরগঞ্জ ইমাম ও উলামা পরিষদের আয়োজনে প্রতিবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি মাও. শফিকুর রহমান জালালাবাদী, সহসভাপতি ও জামিয়ার মহাপরিচালক মাও.শাব্বির আহমেদ রশিদ,সাধারণ সম্পাদক মাও.আবুল বাশার, জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাও.ইমদাদুল্লাহ, মাও,লুৎফুর রহমান, মাও.আনজার শাহ তানীম, মাও. মোহাম্মদ উল্লাহ জামী, বাজিতপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাও.আঃ সাত্তার, প্রিন্সিপাল মাও.জাহাঙ্গীর, কিশোরগঞ্জ তাবলীগ মারকাযের মুরুব্বী মাও.উবায়দুল্লাহ ফারুক,আখরাবাজার মদনী মসজিদের ইমাম ও খতীব মাও.হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব,মাও শেরজাহান প্রমুখ। সম্মেলন চলাকালে একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের সাথে স্বাক্ষাত করলে জেলা প্রশাসক পাকুন্দিয়ার ইজতেমা হবে না বলে আশস্থ করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ইজতেমা হচ্ছে না। শুধু পাকুন্দিয়া নয় টঙ্গীর পরে আর কোন ইজতেমা হবে না বলেও জানিয়েছেন।