বগুড়ায় চাঁদার দাবীতে কলেজ ছাত্রকে অপহরনের পর আটক রেখে মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৩ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া সদর পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, নন্দিগ্রাম উপজেলার পন্ডিৎপুকুর এলাকার সফের আলীর পুত্র ফয়সাল হাসান (২৪)দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর তালুকদারপাড়া এলাকার আমানউল্ল্যাহ আমানের ছেলে তানজিম হোসেন শুভ(২২)এবং কাহালু উপজেলার সোনারপাড়া জামগ্রামের রায়হান আলীর ছেলে রাকিব হাসান (২২)। তারা সকলেই বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সদস্য।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা শহরের জহুরুল নগর এলাকায় শায়েম ও নিবির নামের দুটি ছাত্রবাসে থাকে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধোরে গত সোমবার রাতে তারা এমরান হোসেন (২২)নামের বগুড়া সরকারী শাহসুলতান কলেজের এক ছাত্রকে কথা আছে বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এ সময় এমরান সেখানে গেলে তাকে সেখানকার নিবির ছাত্রবাসে নিয়ে যায় তারা। পরে ফয়সাল হোসেন তার কাছে ২০হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে তারা।
এতে অপারকতা জানালে এমরানকে মারপিট করা সহ মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায় তারা। পর দিন মঙ্গলবার ১৫হাজার টাকা না দিলে তাকে প্রান নাশ সহ বিভিন্ন হুমকী ধামকী প্রদান করে তারা।এসময় এমরান তার এক বন্ধুর নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৬শত টাকা তাদের দেয়। পরে গভীর রাতে আহত অবস্থায় সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে সরাসরি থানায় আসে সে।
থানায় তার সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বগুড়া সদর থানার এসআই সোহেল রানা এসআই জহুরুল ইসলামের নের্তৃতে পুলিশের একটি দল রাতেই জহুরুল নগর এলাকার শায়েম ও নিবির ছাত্রবাসে অভিযান চালিয়ে ফয়সাল হাসান, তানজিম হোসেন শুভ ও রাকিব হাসানকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ এ সময় ছাত্রবাসে এমরানকে আটক ও নির্যাতনের বিভিন্ন সত্যতা নিশ্চিত হয়।
এ বিষয়ে এসআই সোহেল রানার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষিয়টি নিশ্চিত করে জানান,কলেজ ছাত্র এমরানকে আটক রেখে তার উপরে নির্যাতনের প্রমান পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।