বগুড়ার ধুনটে অভ্যান্তরীন কোন্দল ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার রাতে ধুনট বাজারের সোনামুখী সড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল কায়েস সেলিম বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খান সহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে ধুনট বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ধুনট পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি ফারাইজুল ইসলাম ইজুল ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য শাহা আলী হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইমরুল কায়েস সেলিমকে পিটিয়ে আহত করে। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমের পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খানের সোনামূখী রোড়ে অবস্থিত ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করতে থাকলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম খান, ইমরুল কায়েস সেলিম, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু মিয়া আহত হয়। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ধুনট পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি ফাইজুল ইসলাম ইজুলকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল কায়েস সেলিম বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ, গ্রেফতারকৃত পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি ফারইজুল ইসলাম ইজুল ও যুবলীগ নেতা শাহ আলী সহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ইমরুল কায়েস সেলিম বাদী হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে ধুনট বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।