আত্মহত্যার ঘটনাকে পুঁজি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিজের চাচা ও ফুফু সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পিতাহারা এক সন্তান। পিতার অকাল মৃত্যু আর চাচা-ফুফুর সাজানো মামলায় মা কারাগারে আটক থাকায় ছোট বোনকে নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী আশিকি আক্তার।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে রংপুর নগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ জানানো হয়। এ সময় আত্মহত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ মিথ্যা মামলায় আটক মা ও স্বজনদের মুক্তির দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আশিকি আক্তার বলেন, আমার বাবা আলাল হোসেনের আত্মহত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে আমার ফুফু রোকেয়া বেগম ও চাচা দেলোয়ার হোসেন নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন (১৪ মার্চ ২০১৮) আমার মা আজেদা পারভীনকে সহ পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আমার মাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। বর্তমানে আমার চাচা-ফুফুরা মিলে আমাদের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আজ অবদি আমার ফুফু কিংবা চাচাসহ আমার বাবার পরিবারের কেউই কখনও আমার ছোট বোন ঐশি ও আমার খোঁজ খবর নিতে আসেননি। তারা আগেও আমাদের খোঁজখবর রাখতেন না। কিন্তু বাবার অকাল মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাদের ভয়ে আমি ও আমার ছোট বোন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। তারা আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করাসহ দুই বোনের বড় ধরনের ক্ষতি করার চেষ্টা লিপ্ত থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
এসময় পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক মা ও নানি-মামা-খালুর মুক্তির দাবি জানান আশিকি আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে আশিকির ছোট বোন ঐশি মনি, নানা আজগর আলীসহ আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ রংপুর নগরীর দেওডোবা পাইকারপাড়া মাছের খামারের একটি ঘর থেকে আলাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আলালের বোন রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।