ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় শিরিনা খাতুন নামের মাদ্রাসা পড়ুয়া এক নাবালিকা স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের জৈনপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সুত্রে এবং সরজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জৈনপট্টি গ্রামের শওকত আলীর মেয়ে শিরিনা খাতুন(১৩) প্রায় এক বছর পূর্বে খড়িয়া গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া(২২) সহিত প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হওয়ার পর, শিরিনা খাতুনের পরিবার বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায়, গোপনে জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক সমক্ষে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিট করে গত ৪ আগস্ট ২০১৯ খ্রিঃ তারিখে ময়মনসিংহ সদর কাজী অফিসে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর কাবিন মূলে বিবাহ হয়। এ ঘটনায় নাবালিকা স্ত্রী শিরিনা খাতুনের পিতা শওকত আলী বাদী হয়ে ধোবাউড়া থানায় শাকিল মিয়াসহ ৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর সংশোধনী ২০০৩এর ৭/৩০ ধারায় ০৫ নং মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় শাকিল নব্বই দিন কারাভোগ শেষে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। প্রথম স্বামী শাকিল জেল-হাজতে থাকার সুবাধে শিরিনা খাতুন এর পরিবার উপজেলার গোস্তাবহুলী গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিনের এর সাথে শিরিনার দ্বিতীয় বিবাহ দেয়। এ ব্যাপারে শিরিনার পিতা শওকত আলী জানান, এফিডেবিট মূলে শাকিলকে তার মেয়ে তালাক দিয়েছে। শাকিলের দাবী তালাক কার্যকর হওয়ার পূর্বেই তার স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়েছে। শাকিলের পরিবারের দাবী, শিরিনার পরিবার তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এ ঘটনায় শিরিনা খাতুর জানায়, তার বাবা তাকে অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়েছিল। আমি পরিস্থিতির শিকার।