বগুড়া শহরের সাবগ্রাম নারুলী ধাওয়াপাড়া সহ আশপাশের এলাকা এখন সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য হিসাবে পরিনত হয়েছে। খুন জখম ,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ,দখলবাজীতে জরিয়ে পড়েছে এলাকার একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। এলাকার বিভিন্ন বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে হাজারো বাসিন্দা। অভিযোগ আইনশৃংখলা বাহিনীর দোমুখী ভূমিকার কারণে গোটা এলাকায় সন্ত্রাসীদের রামরাজত্ব কায়েম হয়েছ্।ে প্রতিদিনই এলাকায় চলছে নিরব চাঁদাবাজী ,দখলবাজী,সন্ত্রাস।এতে কেউ আপত্তি জানালেই বিপদ। ইতমধ্য ঘটে গেছে হত্যাকান্ড সহ একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন অনেকেই। এসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ,মিছিল
মিটিং বিভিন্ন প্রতিবাদ সমাবেশ করলেও কোন কাজ হয়নি।
এমনি ঘটনায় নারুলী পূর্বপাড়া (২০) নং ওয়ার্ডে রিপন প্রাং নামে এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করায় ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে বুধবার সকালে শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুভ শেখ, আশিক, পারভেজ, নয়ন, রকিরা এলাকায় নানা ধরণের অপকর্ম করে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট্য এলাকাবাসী। চাঁদা না দিলে এলাকায় কোন কাজ করা যায়না। এর আগেও ওই শুভ এক র্যাব সদস্যকে এসপি’র বাংলো এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করেছে। ওই মামলায় সে জেল খেটেছে। একটি বিশেষ মহল তাদের মদদ দিচ্ছে বলেই তারা কাউকে পরওয়া করেনা। রিপন মৃত্যু শয্যায় রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আহবান অনতি বিলম্বে ওই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সদর থানা মামলা নং ১১১/২৩৯ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাত ৮ টার দিকে, ধাওয়াপাড়া ইদানের হোটেলের সামনে ওই আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যার, উদ্দেশ্য রিপন, আসিফ ও বিজয়ের মোবাইল ছিনতাই করে। এর প্রতিবাদ করলে রিপনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে রিপনের বাবা বাদি হয়ে শুভ শেখ, আশিক, নয়নসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬জনকে আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারুলী ফাঁড়ির ইনচার্জ জামিরুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন রিপনের বাবা দুদু প্রাং, আঃ জব্বার, ঈসমাইল হোসেন, অন্তর হোসেন, রঞ্জু মিয়া, সাইদ, জিয়ারত আলী, পলাশ, লাবনি, সালমা, মুন্নি প্রমুখ।