নওগাঁর ধামইরহাটে নির্বাচন অফিসের হেল্প ডেস্কে প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে শতাধিক সেবী গ্রহীতা। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের বিশেষ উদ্যোগে অফিসের নিচ তলায় সাধারণ মানুষকে হয়রানী মুক্ত ও দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষে হেল্প ডেস্কে স্মার্টকার্ড বিতরণ, ভোটার তালিকায় ঠিকানা স্থানান্তর, এন.আই.ডি’তে ভুল সংশোধন ও নতুন ভোটার রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে ভোটার সংখ্যাও। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ এ একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৮ হাজার ২২৯ জন নতুন ভোটার হয়েছে, নিবন্ধিতও আছেন অনেকেই। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ধামইরহাট থানায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৯২।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ধামইরহাট উপজেলায় গত বছরের ১০ জুন যোগদানের পর থেকেই সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ওই হেল্প ডেস্ক খুলেছেন, তিনি বলেন, সপ্তাহের সকল কর্মদিবসে ৮০-৯০ জন ও রবিবারে দেড় শতাধিক সাধারণ মানুষ সেবা গ্রহণ করে থাকে, এছাড়াও বাংলাদেশী অনেকেই যারা বিদেশে আছেন আমরা নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করছি, নতুন ভোটার হওয়া,স্মার্ট কার্ডসহ যাবতীয় সেবা ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও হারানো আইডি কার্ড, এন.আই.ডি’তে ভুল সংশোধন, স্থানান্তরসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে কমিশন নির্ধারিত ফি ব্যাংকের মাধ্যমে আদায়ে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা রাজস্ব সরকারী কোষাগারে জমা হচ্ছে।
গতকাল বিকেলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ধামইরহাট-পত্নীতলা আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করেন। এ সময় নির্বাচন অফিসের হেল্প ডেস্ক তথা সার্বিক কর্মকাণ্ডে সাংসদ শহীদুজ্জামান সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সরকারী প্রতিটি অফিসেই এ রকম হেল্প ডেস্ক খুলে সাধারণ মানুষকে মান সম্মত সেবা প্রদান করলে সেবা গ্রহিতারা স্বল্প সময়ে ভাল সেবা পাবে ও উপকৃত হবে।