বগুড়ার শিবগঞ্জের পল্লীতে গভীর নলকুপ দখলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় হামলা চালিয়ে ৮/১০টি বস্বতবাড়ী ঘড় ভাংচুর মহিলা শিশু সহ অন্যান্যের বেধড়ক মারপিট, লুটপাট ও এক গৃহবধূকে বেঁধে রেখে মমধ্যযুগীয় কায়দায় মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টা পাল্টি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী আজবাহার সরকার বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে এ ঘটনায় এলাকায় মিস্র প্রতিক্রিয়া জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের খাদইল গ্রামের বাসিন্দা আজবাহার সরকারের চাচা আবদুল মতিন সরকার এর নিজ নামীয় গভীর নলকূপ সরকারীভাবে যার লাইসেন্স নং ৪১৮/১৮ শিবগঞ্জ বগুড়া। নলকূপটি স্থাপন করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে গ্রামের কৃষকদের মাঝে সেচকাজ পরিচালনা করিয়া আসিতেছিল। তার মধ্যে বারোয়ানা অংশ বাদী আজবাহারের চাচা মতিন সরকারের এবং চারআনা অংশ মৃত আবদুল মোমিনের পুত্র আবদুর মতিন মোন্নার। একসময় মতিন সরকার বিদেশ চলে গেলে দুই পক্ষের লোকজন গভীর নলকূপটি পরিচালনা করতে থাকে। চতুর মতিন মোন্না সেটা নিজের দখলের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ পায়তারা করছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় তার অসৎ উদ্দেশ্য সফল করতে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ও বুধবার দুপুরে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বাদী পক্ষের লোকজনের বস্বতবাড়িতে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এ সময় ভাংচুর তান্ডব চালিয়ে প্রায় ১০/১৫ টি বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট চালায়। ঐসময় বাড়ির লোকজন তাদের বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাদের বেঁধড় মারপিট করে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা। জোরপূর্বক বাদী গৃহবধূ হাজেরা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে বেঁধে মারপিট করে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। এ ঘটনায় হাজেরা বেগম, বাবলু মিয়া, আফজাল হোসেন, কোহিনুর বেগম সহ ৮/৯ জন আহত হয়। এ ঘটনায় তাদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়।
এবিষয়ে আফজালের পুত্র গভীর নলকূপের মালিক আবদুল মতিন সরকারের ভাতিজা বাদী আজবাহার জানান, প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা অব্যাহত ভাবে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের এদের ভয়ে গ্রাম প্রায় পুরুষ শুণ্য ও এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাদী ও তাদের লোকজন প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) মিজানুর রহামান এ ঘটনায় পাল্টা পাল্টি মামলার কথা জানিয়ে বলেন, দু’পরিবারের বিবাদকে কেন্দ্র করে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।