বগুড়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন ও সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে তালাক প্রদান ও দ্বিতীয় বিয়ের অপরাধে মোস্তাফিজার রহমান ওরফে লিটন নামে ভরশা গ্রুপের এক কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত-১এর বিজ্ঞ বিচারক অস্থায়ী জামিনে থাকা লিটনের জামিন বাতিল করে করেন।
আসামী মোস্তাফিজার রহমান ওরফে লিটন গাবতলী থানার রামেশ্বরপুর তেজপাড়ার আবদুস সামাদ মন্ডলের ছেলে এবং ঢাকার গাজিপুরের কালিগঞ্জের মূলগাঁও এলাকার ভরশা গ্রুপ াব ইন্ডাজট্রিতে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে ,শহরের ফুলবাড়ী এলাকার নিলুফা ইয়াসমিনের সাথে ৮/৯ বছর আগে লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ও পরবর্তি সময়ে নগদ অর্থ জায়গা সহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জামাতা লিটনকে প্রদান করে কনে পক্ষ। তাদের দাম্পত্ত জীবনে মৌমিতা নামের ৬বছরের একটি শিশু কন্যা রয়েছে তাদের।
শিশুটি জন্ম নেবার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী নিলুফার উপর চাপ দিতে শুরু করে লিটন। এতে তাদের দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত হয়। পরে পরকিয়া ঘটনায় স্ত্রীর সাথে বিবাদ চরমে পৌছায়।এদিকে স্ত্রী পক্ষে পাওয়া জমি বিক্রি করায় লিটনের উপর ক্ষুব্ধ হয় স্ত্রী। যৌতুকের টাকা দিকে অস্বিকার করা এবং জমি বিক্রির প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে তালাক প্রদান এবং গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে লিটন। এ ঘটনায় গেল বছরে আদালতে মামলা করে স্ত্রী নিলুফা। পরে আদালতকে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘড় সংসার করার অঙ্গিকার করার আবেদনের ভিত্তিতে লিটনকে অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
এদিকে বৃহস্পতিবার আদালতে দেয়া আসামি পক্ষের মিথ্যা তথ্য ও বাদীর পক্ষে বিভিন্ন প্রমানাদি উপস্থাপন করায় বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত-১এর বিজ্ঞ বিচারক অস্থায়ী জামিনে থাকা লিটনের জামিন বাতিল করে করে তাকে আদালতে প্রেরন করেন