নাঙ্গলকোটের ধাতিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভুতভাবে সভাপতি মনোননসহ বিভন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের পক্ষে এবিএম ইউছুপ পিন্টু ও নিজাম উদ্দিন স্থানী দুই ব্যক্তি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ক্যাচমমেন্ট এরিয়ার লোকজনকে না জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। প্রধান শিক্ষক তার পছন্দমত লোকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। প্রতিটি মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে ৩শ টাকা ও নমিনেশন ফরম জমা দেয়া বাবদ ৩হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক এবিএম ইউছুপ পিন্টু অভিভাবক সদস্য ফরম ক্রয় করতে গেলে তাকে মনোনয়ন ফরম এবং ভোটার তালিকা দেয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক কাজী মোজাম্মেল বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে সদ্য বিদায়ী সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন তুহিনের নাম মনোনয়ন প্রদান করলেও তার মেয়ে লাবিবা আননুর কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণী, রোল-০৮ ও ধাতিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণী, রোল-৪৬ দু‘টি প্রতিষ্ঠানে তার মেয়ের ভর্তি রয়েছে। সাখাওয়াত হোসেন তুহিন বর্তমানেও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। প্রধান শিক্ষক অন্যায়ভাবে অনিয়মের মাধ্যমে যে ছাত্রী কুমিল্লায় ভর্তি রয়েছে তাকে ২য় বার বিদ্যালয়ে ভর্তি দেখায়।
এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৫ম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার বাহির থেকে ৫/৬জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য পৃথক রুমে বসিয়ে সম্পূর্ণ বিধি বহিভূতভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরীক্ষা ফি, উপবৃত্তি ও টি. সি সরকারি বিধির বাহিরে আদায়, ৫ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করানোর নাম করে প্রতি ছাত্র থেকে মাসিক ৫শ টাকা করে আদায় ও প্রতিদিন মিটিং এর কথা বলে উপজেলা শিক্ষা অফিসে চলে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
প্রধান শিক্ষক কাজী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমার বিষয়ে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। তাদের একটি অভিযোগেরও ভিত্তি নেই।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এখনো ওই স্কুলের কোন কমিটি অনুমোদন হয়নি। সভাপতি করতে হলে আগে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে বিদ্যোৎসাহী সদস্যের নাম জমা দিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। আমার জানা মতে এখনো বিদ্যোৎসাহী সদস্যেরও নাম জমা হয়নি।