কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমি-জমার বিরোধের জেরে বাবু মিয়া নামের এক যুবক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এ ঘটনায় বাবু মিয়ার চাচা সফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে শনিবার জেল-হাজতে প্রেরণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে, গত বুধবার (৪ মার্চ) রাতে উপজেলার কালপানি বজরা গ্রামে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র মন্টু মিয়া ও মঞ্জু মিয়ার সাথে একই এলাকার শফিকুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমাসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায় বুধবার (৪ মার্চ) রাতে রবিউল ইসলামের পুত্র বাবু মিয়া বাড়ির উঠানে বের হইলে ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা বাবু মিয়াকে মন্টু মিয়ার বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে বাবু মিয়ার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে বাঁ-পাজরের হাঁড় ও দুই পায়ের গোড়ালী ভেঙ্গে দেয়। এ সময় দূর্বৃত্ত্বরা তার চোখ খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বাবু মিয়ার মা ফিরোজা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও অমানবিক নির্যাতন করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ পরিস্থিতিতে তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মা-ছেলেকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বাবু মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বাবু মিয়ার চাচা সফিকুল ইসলাম গত শুক্রবার উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মন্টু মিয়া ও মঞ্জু মিয়াকে আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলা তদন্তকরী কর্মকর্তা এস আই মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযান চলছে যতদ্রুত সম্ভব বাকি আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।