সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের হৈটাব গ্রামে তিন বাড়িতে ৮ জনকে কুপিয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দল নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। এ ঘটনায় মিজান নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হৈটাব গ্রামে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে ১২/১৫ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে রাজিব চন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেয়। পরে ভবের চন্দ্র বিশ্বাস ও সুমন চন্দ্র বিশ্বাসের ঘরে প্রবেশ করে নগদ দুই লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণলংকার, মোবাইলসেটসহ মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য পথে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই গ্রামের লোকজন ঘুম থেকে জেগে যায়। এ সময় ডাকাত দলকে প্রতিহত করার চেষ্টা করার সময় শিউলী রানী, অজয় বিশ্বাস, শিল্পী রানী, অপু বিশ্বাস, দিগন্ত বিশ্বাস, শান্ত বিশ্বাস ও রাজিব চন্দ্র বিশ্বাস নামের ৮জনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে মিজান নামের এক ডাকাত গাছের সাথে আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মিজানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মিজান মাদারিপুর জেলার ডাসার থানার বোতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
এদিকে ডাকাতি শেষে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় অবিস্ফোরিত তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ওই ককটেল গুলো উদ্ধার। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনাস্থল থেকে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিস্ফোরিত তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।