কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ঘের ও বাশঁ দিয়ে প্রভাবশালীরা দখল করে প্রৃকৃত জেলেদের মাছ শিকারে বাধাঁ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ৩ কিলোমিটার জুরে, ৩টি ইউনিয়ন সাদেকপুর,শ্রীনগর ও আগানগরের কয়েকশত জেলে মাছ শিকার করতে না পারায় পরিবার গুলোতে চলছে দূর্দিন। প্রতিকার চেয়ে জেলেরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করে ও কোন কাজ না হওয়ায় শনিবার দুপুরে আগানগর ইউনিয়নের মেঘনা অববাহিকায় মঞ্জুর নগরে শতাধিক জেলে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ফলে স্থানীয় জেলেদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই জেলেরা দ্রƒত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।
ভৈরবের আগানগর,শ্রী-নগর ও সাদেকপরসহ ৩টি ইউনিয়নের কয়েকশ জেলে বংশপরম্পরায় মেঘনা নদী থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। জাল যার জলা তার নীতি অনুযায়ী সরকার জেলেদেরকে মাছ শিকারে হাওর, জলাশয় ও নদী অবমুক্ত করে দিলেও ভৈরবে ঘটছে উল্টোটি। বিগত ৩ বছর যাবৎ প্রভাবশালীরা মঞ্জুর নগর থেকে লুন্দিয়া ওরার খাল পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার জায়গা দখল করে লুন্দিয়া গ্রামের ইটালী প্রবাসি দ্বীন ইসলাম, লোকমান হোসেন, হারুন মেম্বার, আবু জাহের,আলকাছ মিয়া ও জাফর নগর গ্রামের আবু তাহের নদীতে ঘের ও বাশঁ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে নিজেরা লাখ লাখ টাকার মাছ শিকার করছে। কিন্তু জেলেদের মাছ শিকারে বাধাঁ দিচ্ছে। এতে করে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেনা। শুধু তাই নয় জেলেরা মাছ শিকার করতে গেলে প্রভাবশালীরা জেলেদের মারধোর করে মাছ শিকারের জাল ছিড়ে ফেলে এমনকি নানাভাবে তাদের হয়রানি করে। এ ছাড়া নদীতে নৌ-যান চলাচলেও বিঘœ ঘটছে।
এ বিষয়ে জেলে উজ্জ্বল মিয়া জানান, বাপ দাদার আমল থেকে আমরা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছি। কিন্তু বিগত ৩ বছর ধরে আমরা নদী থেকে মাছ ধরতে পারছিনা। আমরা অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি।
এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন, নেকবর আলী ও জমির আলীসহ একাধিক জেলে অভিযোগে জানান, লুন্দিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন, হারুন মেম্বার,ইটালী প্রবাসি দ্বীন ইসলাম, আবু জাহের,আলকাছ মিয়া ও জাফর নগর গ্রামের আবু তাহের নদীতে ঘের ও বাশঁ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে নিজেরা লাখ লাখ টাকার মাছ শিকার করছে। কিন্তু আমাদেরকে মাছ শিকারে বাধাঁ দিচ্ছে। এতে করে আমরা জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছিনা। শুধু তাই নয় মাছ শিকার করতে গেলে প মারধোর করে মাছ শিকারের জাল ছিড়ে ফেলে। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান জেলেরা।
এ বিষয়ে ভৈরব সহকারি কমিশনার ( ভূমি) হিমাদ্রি খিসা জানান, মেঘনা ও ব্রক্ষপুত্র নদীতে ঘের ও বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে জেলেদের মাছ শিকারে বাধাঁ দেয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো য়াতে জেলেরা মাছ শিকার করতে পারে।