বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, এসরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছেনা। তারেক রহমান এদেশের এযুগের শ্রেষ্ঠ সন্তান এই কারণে সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়। তাকে দেশে আমাদের মাঝে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সরানোর জন্য এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে একেবারে রাজনীতি শূন্য করে দেওয়া, পরীক্ষিত রাজনীতিকদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ১/১১ এর এই চক্রান্ত হয়েছিল।
শনিবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তথাকথিত রাজনীতির পথে না গিয়ে নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। সেই কারণে তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছিলো। তিনি আরও বলেন, আজকে তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসিত। তিনি অসুস্থ অবস্থায় সেখানে (লন্ডন) আছেন। আমরা প্রতিমুহূর্তে প্রত্যাশা করছি, তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। আজকের যে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র তাকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তারেক রহমান আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন। সাবেক এমপি লালু বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আজকে আমাদের সময় এসেছে, জনগণের ঐক্য গড়ে তুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা। তাহলেই ফ্যাসিস্ট সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজণৈতিক কারণে একটার পর এটা মামলা দিয়ে তাকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। এটার একটাই উদ্দেশ্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে অভিসিক্ত হয়েছেন। যখনই গণতন্ত্রের সমস্যায় ভোগে দেশনেত্রী তিনি সামনে এসে অকোতভয়ে আপোষহীনভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। এই ইতিহাস দেশবাসীর জানা। বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির নেতা রেজাউল করিম বাদশা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদিন চাঁন, লাভলী রহমান, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মামুনুর রশীদ মিঠু, এম আর ইসলাম স্বাধীন, এ্যাড. শাহাজাদী লায়লা বানু, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কেএম খায়রুল বাশার, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, ওমর ফারুক খান, পলিন, মনিরুজ্জামান মনি, সাইদুজ্জামান শাকিল, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এ বি এম মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মকুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, কৃষকদলের সাইফুল ইসলাম বাবলু, শ্রমিকদলের সাইদুর কবির, লিটন শেখ বাঘা প্রমুখ।