ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, মাদক-জঙ্গী একটি সামাজিক ব্যাধি। মাদক জঙ্গীর সাথে জড়িতরা জাতির শত্রু। এই মাদক জঙ্গী প্রতিরোধে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সম্মিলিতিভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পড়াশোনা শেয়ারসহ ভালো কাজের আবিষ্কার করা হলেও তা আজ এর ব্যাপকভাবে অপব্যাবহার হচ্ছে, তাই তোমাদেরকে ইন্টারনেট ও ফেসবুক থেকে দূরে থাকতে হবে। তোমরা মনে রাখবে মাদক, জঙ্গী, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ৯৯৯ নাম্বার সবচেয়ে বড় অস্ত্র, যখনই তোমরা এসবের কবলে পড়বে তখনই ৯৯৯-এ ফোন করবে- এতে কোন টাকা খরচ হবে না। তোমাদের সামনে রয়েছে অপার সম্ভাবনা, কোন হতাশা আমি দেখছি না। এটা বিশ্বয়ানের যুগ তোমারদেক ঐভাবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন প্রত্যেকটি পরিবারই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাঠশালা, সন্তানদের আদর স্নেহ করে বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে স্কুল কলেজে পাঠাবেন। তারা কোথায় যাচ্ছে কি করছে, সেদিকেও অভিভাবকদের দৃষ্টি রাখতে হবে।
‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার, এ শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় মাঠে রোববার সকালে মাদক, জঙ্গীবাদ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদ এসব কথা বলেন।
উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি এড. ইমদাদুল হক সেলিম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মালেক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী, সহকারী পুলিশ সুপার স্বাগতা ভট্টাচার্য্য, কর্মকর্তা ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া। অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুন্নাহার শেফা, জেলা পরিষদ প্যালেন চেয়ারম্যান ফারজানা শারমীন বিউটি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুবকর ছিদ্দিক, ইউ,পি চেয়ারম্যান শামছুল হক প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য তাজুল ইসলাম বাবলু, রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন শর, পারভীন সুলতানা, ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ইমাম, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রধান অতিথি বক্তব্য শেষে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সমাবেশে দুর্নীতি বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দুই জন বীরাঙ্গনাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।