সোনারগাঁয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হাড়িয়া এলাকার চাঁন মিয়া সরকারের ছেলে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমি ব্যবসায়ী ওমর ফারুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জমি ব্যবসায়ী ওমর ফারুক তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলার হাড়িয়া এলাকার চাঁন মিয়া সরকারের ছেলে সুলতান মাহমুদের কাছ থেকে তিনি ২০১১ সালের ৩রা অক্টোবর নন-রেজিষ্ট্রি বায়না নামা দলিল মূলে ৩২.৩২ শতাংশ জমি দশ লাখ টাকা মূল্যের বিনিময়ে ২ লাখ টাকা বায়না করেন। ৩২.৩২ শতাংশ জমি থেকে তিনি দুই দফায় ৯.৩৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে আরো ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন সুলতান মাহমুদকে। পরবর্তীতে ওই জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি ব্যবসায়ী ওমর ফারুকে না জানিয়ে ২২.৯৬ শতাংশ জমি একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী জমি ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জমি বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব সরকারের কাছে এ বিষয়ে বিচার দাবী করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব সরকার এ ঘটনায় তার কার্যালয়ে বিচার শালিস ডাকলে আসামি সুলতান মাহমুদ উপস্থিত না হয়ে তালবাহানা শুরু করে। দীর্ঘ সময় পর আবারও এ পাওনা টাকার দাবিতে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের কাছে বিচার দাবি করেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ বিচার স্থানীয় শালিসকারী রেজাউল করিম ও লিয়াকত আলীর কাছে ন্যস্ত করে। স্থানীয় শালিসকারীদের বিচার বিশ্লেষনে সকল কাগজপত্র যাচাই করে ২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় সুলতান মাহমুদকে। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে সময় নিয়ে কৌশলে ওই ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরী করে ২টি প্রসক্সিউশনের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট জারি করে গ্রেফতার করে হয়রানী করে।
জমি ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জানান, পাওনা টাকা চাওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানা, ফতুল্লা থানা, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ও নারায়ণগঞ্জ কোর্টে ১০টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে আসছে। এ থেকে উত্তোরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় প্রতারক সুলতান মাহমুদ জমি ব্যাবসায়ী ওমর ফারুক ও পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করে আসছে। অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার সাথে ওমর ফারুকের কোন লেনদেন নেই। আমি মিথ্যা মামলা করে থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তদন্ত করবেন।