১৪ বছর বয়সী কিশোরী সোহাগী আক্তার। কিশোরী বয়সেই সে প্রেমের ফাঁদে পড়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামের খাইরুল সরদারের (২০)।
খাইরুল তাকে গত ৯ জানুয়ারী আদালতে এ্যাফিড্যাফিটের মাধ্যমে বিয়ে করে বাড়িতে তোলে। কিন্তু তার পরিবারের অমত থাকায় ২৮ জানুয়ারী তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু সোহাগীর পরিবারও তাকে ফিরিয়ে নেয়নি। বাধ্য হয়ে তার বড় বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
জীবনের শুরুতেই হোঁচট খাওয়া সোহাগী এই সমস্যার সমাধানের জন্য তাদের গ্রামে পুলিশী সেবা দিতে আসা গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমানের সামনে হাজির হয়। সমস্যা শুনে ওসি খাইরুল ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করেন।
এ রকম অনেক সমস্যার সমাধান ও আইনি সহায়াতা দিতে রোববার গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান অফিস করেন উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের গাছ তলায়। ‘চলো যাই গাঁয়ের পথে’ শ্লোগানে প্রত্যন্ত এই ওসি’র কার্যালয়কে নাম দেয়া হয়েছে জনতার দরবার। সেখানে গ্রহন করা হয় স্থানীয়দের নানা অভিযোগ ও সাধারন ডায়রী। দেয়া হয় বিভিন্ন ধরনের পুলিশী সেবা। ঘরের কাছে পুলিশের এ ধরনের সেবা পেয়ে আনন্দিত এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, প্রত্যন্ত এ অঞ্চল থেকে একজন মানুষ থানায় গিয়ে পুলিশী সেবা গ্রহন করতে গেলে তার অন্তত ২শ টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া পোহাতে হয় নানা ধরনে ঝামেলা। এ সকল ঝামেলা থেকে জনসাধারনকে পরিত্রান দিতে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ইউনিয়নবাসীর সুবিধার্থে ইউনিয়নের মাঝামাঝি ইনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাশে এ অস্থায়ী কার্যালয়ের স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতি রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এখানে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে জনগণকে সেবা প্রদান করবেন বলে তিনি জানান।
এসময় ওসি ছাড়াও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।